রোববার এমিরেটস স্টেডিয়ামে জেমি ভার্ডি গোলে লেস্টার প্রথমে এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে থিও ওয়ালকট ও ড্যানি ওয়েলবেকের গোলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল।
এবারের লিগে লেস্টারের এটি তৃতীয় হার।
ঘরের মাঠে প্রথম মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন মেসুত ওজিল। কিন্তু তার নিচু ক্রসে গোলমুখে পা লাগাতে ব্যর্থ হন আলেক্সিস সানচেস। খানিক পরেই কর্নার থেকে ফের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন চিলির এই ফরোয়ার্ড।
আর্সেনাল ঘন ঘন আক্রমণে উঠলেও তবে ষষ্ঠদশ মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে সহজতম সুযোগটি পায় অতিথিরাই। জেমি ভার্ডির হেড গোললাইন থেকে ঠেকিয়ে সে যাত্রায় স্বাগতিকদের বাঁচান গোলরক্ষক পেতর চেক।
প্রথমার্ধের বাকি সময়েও লেস্টারের রক্ষণে চাপ ধরে রাখে অলিভিয়ে জিরুদ ও মেসুত ওজিলরা, কিন্তু রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা। উল্টো ৩৯তম মিনিটে পিছিয়েই পড়তো দলটি। ফরাসি মিডফিল্ডার এনগোলো কান্তের দুর্দান্ত একটি ক্রস শেষমুহূর্তে বাঁক খেয়ে জালে ঢুকতে যাচ্ছিল, ওই সময় তা ঠেকিয়ে দলকে ফের বাঁচান চেক।
এবারের লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা ইংলিশ স্ট্রাইকার ভার্ডির এটা ১৯তম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে লেস্টারের সীমানায় চাপ ধরে রাখে আর্সেনাল। তবে শীর্ষস্থানধারীদের জমাট রক্ষণে সুবিধা করতে পারছিল না তারা।
৫৪তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় লেস্টার; ফরাসি স্ট্রাইকার জিরুদকে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইংলিশ ডিফেন্ডার ড্যানি সিম্মসন।
এক জন কম নিয়ে আক্রমণ ঠেকাতে কঠিন পরীক্ষায় পড়ে লেস্টার। ৭০তম মিনিটে আট গজী বক্সের মধ্যে থেকে কোনাকুনি শটে আর্সেনালকে সমতায় ফেরান বদলি নামা ইংলিশ ফরোয়ার্ড থিও ওয়ালকট।
৮৪তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো আর্সেনাল, কিন্তু ওজিলের ক্রসে পের মার্তেসাকারের কাঁধে লেগে আসা বল পোস্ট ঘেষে চলে যায়। দুই মিনিট পর জিরুদের শট দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
এই হারের পরও অবশ্য শীর্ষেই থাকছে লেস্টার, ২৬ ম্যাচে আসরের চমক জাড়ানো দলটির পয়েন্ট ৫৩। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা আর্সেনালের পয়েন্ট ৫১।