লিভারপুল থেকে ২০১৪ সালে বার্সেলোনায় নাম লেখান সুয়ারেস। ব্রাজিল বিশ্বকাপে উরুগুয়ের হয়ে খেলার সময় ইতালির জর্জো কিয়েল্লিনিকে কামড় দেওয়ায় সব ধরনের ফুটবলে লম্বা সময়ের জন্য নিষিদ্ধ থাকায় বার্সেলোনায় তার অভিষেক একটু দেরিতেই হয়।
বার্সেলোনার দুর্বোধ্য পাসিংয়ের ধরন তার খেলা সীমিত করে দেবে কিনা, এ বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না সুয়ারেস। তবে এই দুশ্চিন্তাকে অনেক আগেই কাটিয়ে উঠেছেন লিভারপুলের সাবেক স্ট্রাইকার। অসাধারণ খেলে গত মৌসুমে বার্সেলোনার ট্রেবল জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
এ মৌসুমেও দারুণ ছন্দে রয়েছেন সুয়ারেস। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনার হয়ে ৩৪ ম্যাচ খেলে ৩৬ গোল করেন তিনি।
ইংল্যান্ডের সংবাদপত্র ডেইলি মেইলে ছাপা হওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুয়ারেস বলেন, “প্রথমে ভাবতে পারিনি, আমি বার্সেলোনার খেলার ধরনের সঙ্গে মানানসই হবো। প্রচুর তিকি-তাকা, আর আমি মনে করেছিলাম খেলার অনেক জায়গা না থাকায় আমার জন্য আরও কঠিন হবে।”
‘এমএসএন’ নামে পরিচিত আক্রমণ-ত্রয়ীর অপর দুই সদস্য মেসি আর নেইমারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হওয়াটাও বার্সেলোনায় নিজেকে মেলে ধরতে সুবিধা হয়েছে বলে জানান সুয়ারেস।
“লিও আর নেইমারের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক আমার। মাঠের বাইরে যদি এদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকে, তাহলে মাঠেও এ রকম হবে। তারা বিষয়টি এভাবে নিয়েছে যেন আমি তাদের সাহায্য করতে এসেছি, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নয়।”
সুয়ারেস বার্সেলোনায় খেলা শুরু করার আগে ক্লাবটির মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতেন মেসি। কিন্তু কোচ এনরিকে আর মেসির সঙ্গে আলোচনা করে মূল স্ট্রাইকারের জায়গা নেন সুয়ারেস। মেসি চলে যান ডান উইংয়ে।
সুয়ারেস জানান, এনরিকে বিষয়টিতে একমত হয়েছিলেন কারণ তিনি চেয়েছিলেন সুয়ারেস আর মেসি দুজনেই যেন স্বস্তিতে খেলেন।
এনরিকের আক্রমণত্রয়ীর অদম্য গতিতে এগিয়ে চলার শুরু এই জায়গা অদলবদল থেকেই।
“আমি আমার আর তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে জানি। আর আমরা তিনজনই দলের জন্য খেলি। আমরা জানি, লিওই সেরা। আমরা বার্সেলোনাকে শিরোপা জেতাতে খেলি। আমাদের তিনজনের মধ্যে কোনো ঈর্ষা নেই।”