এএফসি কাপের মূল পর্বে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের প্রথম ম্যাচে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।
মামুনুল ইসলাম, নাসিরউদ্দিন চৌধূরীসহ জাতীয় দলের অনেক ফুটবলার এবার শেখ জামালের তাবু ছেড়ে নতুন ঠিকানায় গিয়েছেন। এএফসি কাপের জন্য সেরা একাদশ সাজানোটাই মানিকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের শিরোপা চট্টগ্রাম আবাহনীকে এনে দেওয়া এই কোচ মঙ্গলবার শেখ জামালের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেন। চুক্তির পর হাতে থাকা ফুটবলারদের নিয়েই কাজ শুরু করেছেন। পরিস্থিতি কঠিন হলেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সাহস না হারানোর কথাই বললেন মানিক।
“আগে খেলোয়াড়দের হাতে পাই; অবশ্য যারা আছে তাদের নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এএফসি কাপের প্রতিপক্ষরাও শক্তিশালী। প্রথম ম্যাচটা হওয়ার পর সবকিছু বোঝা যাবে। প্রস্তুতির সময় কম হয়ে যাচ্ছে। তবে আমি ছেলেদের নিয়ে আশাবাদী।”
‘ই’ গ্রুপে এএফসি কাপের বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়া শেখ জামালের সঙ্গে আছে সিঙ্গাপুরের দল তামপাইন রোভার্স, মালয়েশিয়ার সেলানগোর এবং ফিলিপাইনের সেরেস লা সাল্লে এফসি। ২৩ ফেব্রুয়ারি মানিকের শিষ্যরা প্রথম ম্যাচে তামপাইন রোভার্সের মুখোমুখি হবে। প্রথম ম্যাচটাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানছেন ঘরোয়া ফুটবলের শিরোপাধারী শেখ জামালের নতুন কোচও।
“প্রথম ম্যাচটা খুব কাছাকাছি সময়ে হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচের আগে সময় পাব; তখন গুছিয়ে নেওয়া যাবে। প্রথম ম্যাচে টিকে থাকা, ভালো করা আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।”
“মাঝে খেলোয়াড়দের নিয়ে টানা হ্যাচড়ায় শেখ জামালের একটা বাজে সময় গেছে। এগুলো কাটিয়ে উঠতে একটু সময় লাগবেই। এরই মধ্যে প্রথম ম্যাচ পড়ে গেছে। প্রথম ম্যাচে গুছিয়ে উঠতে পারলে আমার বিশ্বাস পরের ম্যাচগুলোয় দল ভালো করবে”, যোগ করেন তিনি।
গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল, ইয়ামিন মুন্না, ইয়াসিন খান, জামাল ভূইয়া, সোহেল রানা, জুয়েল রানা, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস ও তপু বর্মন-এই আট ফুটবলারকে এএফসি কাপের জন্য ধারে খেলতে আনার কথা ভাবছে শেখ জামাল। তবে প্রস্তুতির সময় কম হওয়ার দলের কম্বিনেশন নিয়ে একটু দুর্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে কোচের।
“ওরা (ধারে আনতে চাওয়া ফুটবলার) খেলার মধ্যে আছে। ফিটনেসের অভাব হবে না। তবে টিম কম্বিনেশন আর প্রস্তুতির সময়টা আমরা বেশি পাচ্ছি না। যা একটু দুর্ভাবনা, এটা নিয়েই।”