এবারের এসএ গেমসের জুড়োতে এবার পুরুষ-মহিলা মিলিয়ে ১২টি ইভেন্টে হবে সোনার পদকের লড়াই। বাংলাদেশের ১০ জনের জুডো দলে আছেন পাঁচ জন পুরুষ, পাঁচ জন মহিলা।
গত তিন নভেম্বর থেকে চলছে জুডোর প্রস্তুতি। তিন মাসের প্রস্তুতি নিয়ে পদক পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না কোচ মাহবুব-উল-আলম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানালেন ‘মোটামুটি প্রস্তুতি’ নিয়েই এসএ গেমসে যাচ্ছেন তারা।
“নভেম্বর থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছি আমরা, অন্যরা যেখানে ছয়-সাত মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি আমরা। তারপরও নিজের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ভাবনা দিয়ে দলটাকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি আমি।”
“বলতে পারছি না পদক জিতব কিন্তু এতটুকু বলতে পারি আমরা ভালো করব। যদি ছয় মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে পারতাম, তাহলে একটা কিছু পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারতাম,” যোগ করেন তিনি।
১৯৮১ সালে ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়ান গেমসে উন্মুক্ত ক্যাটাগরিতে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন কামরুন নাহার হিরু; বর্তমানে জুডোর টেকনিক্যাল কর্মকর্তাও পদকের স্বপ্ন দেখাতে পারছেন না। তা না পারার অন্যতম কারণ গত চার বছর ধরে জাতীয় পর্যায়ে কোনো খেলা না হওয়া।
এসএ গেমসের গত ১১ আসরে জুড়ো থেকে ১০টি রূপা ও ১৫টি ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলাদেশ। গত আসরেও ছিল পাঁচটি পদক। নিজেদের মাঠে রূপা জিতেছিলেন বর্তমান দলে থাকা মামুন রশীদ। গতবারের বাকি চার ব্রোঞ্জ জয়ীর মধ্যে রশীদের সঙ্গে আছেন হাবিবুর রহমান।
কোচ মাহবুব ছেলেদের ইভেন্ট থেকে যা একটু পদক পাওয়ার আশা করছেন। অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকা ইতি খাতুন, সিংমা প্রু মার্মাদের কাছে পদকের আশা নেই তার।
“ছেলেরা অভিজ্ঞ; মেয়ে দলটা অনভিজ্ঞ; আন্তর্জাতিক আসরে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। জাতীয় পর্যায়েও খেলা নেই তিন-চার বছর। তারপরও আশা আছে (এসএ গেমস থেকে) কিছু পাওয়ার।”