এসএ গেমসে ভলিবলের রূপার স্বপ্ন

দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) গত তিন আসরে ভলিবল থেকে কোনো পদক পায়নি বাংলাদেশ। না পাওয়ার হতাশা এবার দূর করতে মরিয়া জাবির-মাসুদরা। তবে বাস্তবতা মেনে ভলিবল দলের প্রথম লক্ষ্য ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করা; এর পর রূপার জন্য ঝাঁপানো।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2016, 11:32 AM
Updated : 4 Feb 2016, 11:32 AM

লক্ষ্য পূরণের আত্মবিশ্বাস জাবিররা নিচ্ছেন গত বছর ইরানে গিয়ে খেলে আসা একটি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টের সাফল্য থেকে। ওই টুর্নামেন্টে ইরানের ক্লাবগুলোর সঙ্গে খেলা ১৪ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় আটটি; হার ছয়টি।

মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে ভলিবল দলের অলরাউন্ডার সাঈদ আল জাবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, ইরানের অভিজ্ঞতা এসএ গেমসে কাজে লাগিয়ে সাফল্য পেতে চান তারা।

“গত আগস্ট থেকে আমরা ইরানের কোচ আলি পোর আরজির অধীনে প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রস্তুতিও ভালোই হচ্ছে। তাছাড়া কিছু দিন আগে আমরা ইরানে গিয়ে একটি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা এসএ গেমসে কাজে লাগাতে চাই।”

১৯৯৫ ও ১৯৯৯ সালে পাওয়া ব্রোঞ্জ পদকই এশিয়ান গেমসের ভলিবল থেকে বাংলাদেশের এ পর্যন্ত সেরা সাফল্য। পরের তিন আসরে ব্রোঞ্জের বৃত্ত ভাঙা তো দূর অস্ত, পদকই মেলেনি! এবার রূপার লক্ষ্য পূরণে পথটাও মসৃণ নয়; তবে ছোটো স্বপ্ন দেখতে রাজি নন জাবির।

“বি-গ্রুপে আমাদের সঙ্গে আছে মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। পাকিস্তান শক্তিশালী। তাই আমাদের লক্ষ্য মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সেমি-ফাইনালে ওঠা।”

গত বছর মে মাসে বাংলাদেশে এশিয়ান পুরুষ ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপে পঞ্চম হয়েছিল স্বাগতিকরা। এর বাইরে ইরানের আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট ছাড়া এসএ গেমসের জন্য আর কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি ভলিবল দলের।

মহিলা ভলিবল দল ৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের গুয়াহাটি-শিলংয়ের আসরে অংশ নিচ্ছে না বলে ছেলেদের ওপর প্রত্যাশার চাপটাও বেশি। প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিজেদের শক্তির ব্যবধানটা জানিয়ে বেশি প্রত্যাশা করতে যেন বারণই করে দিলেন জাবির।

“ভারত ও পাকিস্তান আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সোনা ও রূপা তারাই পায়। তাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য ব্রোঞ্জটাই ফিরে পাওয়া। তবে প্রস্তুতি ভালো, তাই রূপা পাওয়ার লক্ষ্যও আছে।”