শুটিংয়ে বাকিকে ঘিরেই যত আশা

দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) গত আসরের দুই সোনা জয়ী শারমিন আক্তার রত্না, আসিফ হোসেন নেই এবারের দলে। শুটিং থেকে পদকের আশাটা তাই আব্দুল্লাহ হেল বাকিকে ঘিরেই বেড়ে উঠছে।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2016, 04:09 PM
Updated : 3 Feb 2016, 04:09 PM

আগামী শুক্রবার ভারতের গুয়াহাটি-শিলংয়ে শুরু হবে এসএ গেমসের দ্বাদশ আসর। কিন্তু কদিন আগে শেষ হওয়া ২০১৬ সালের অলিম্পিকের এশিয়া অঞ্চলের বাছাই পেরুতে না পারা বাকিদের নিয়ে বড় আশা করাও কঠিন।

গতবার ঘরের রেঞ্জে দুটি সোনা জিতেছিলেন রত্না; শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাদ এই ‘সোনার মেয়ে’ ক্ষমা চেয়েও ফেডারেশনের মন গলাতে পারেননি। সোনা জয়ী আসিফ রাইফেল তুলে রেখে কোচিং বেছে নিয়েছেন। মানে সেরাদের ছাড়াই ভারতে যাচ্ছে শুটিং দল।

দক্ষিণ কোরিয়ান লি জং হুয়ান এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বাংলাদেশের শুটারদের কোচিং করাচ্ছেন। বাকিদের তাই ভালোভাবে জানা আছে তার। ভারতের রওনা দেওয়ার আগে মেয়েদের নিয়ে নয়, ছেলেদের নিয়ে যা একটু আশাবাদ শুনিয়েছেন তিনি।

আরেক কোচ সাইফুল আলম রিংকিও প্রস্তুতি নিয়ে খুশি। কিন্তু পদকের সম্ভাবনা নিয়ে নিশ্চিত কথা বলতে পারছেন না এসএ গেমসে পাঁচটি সোনা জেতা এই সাবেক শুটারও।

১৯৯১ সালের এসএ গেমসে শ্যুটিং যোগ হয় প্রথমবার। সেবার বাংলাদেশ তিনটি সোনা জিতেছিল। পরেরবার নিজেদের রেঞ্জে মিলেছিল সাতটি সোনার পদক। ১৯৯৫ সালেও পাওয়া গিয়েছিল পাঁচটি সোনার পদক। এসএ গেমসে বাংলাদেশের পাওয়া ৬৩টি সোনার পদকের ২১টি এসেছে শুটিং থেকে। সব মিলিয়ে এই ডিসিপ্লিন থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ২১টি সোনা, ২৮টি রূপা ও ৪০টি ব্রোঞ্জ।

কিন্তু শুটিংয়ের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল, ৫০ মিটার রাইফেল ও পিস্তলে বরাবর ভালো ফল এলেও এবার সোনা মিলবে কিনা, তা নিয়ে দোটানায় রিংকি, “টুর্নামেন্টের ফরম্যাটে যদিও কিছু পরিবর্তন এসেছে, তবে আমার মনে হয় ১৮ থেকে ২০টি ইভেন্টে আমাদের শুটাররা ফাইনালে উঠবে।”

দিল্লির অলিম্পিক বাছাইয়ের টুর্নামেন্টে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ৬১৯ স্কোর গড়েন বাকি। যে আটজন বাছাই পেরিয়েছেন তাদের মধ্যে সবার নিচে থাকা প্রতিযোগীর স্কোরই ৬২০.১। তবে ২০১৪ গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জেতা বাকির ওপরও আস্থা রাখছেন রিংকি।

“বিশ্বমানের স্কোর করার সামর্থ্য বাকির রয়েছে এবং আমি মনে করি, সেদিকেই সে দৃষ্টি রাখবে। যদি বাকি স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারে, তাহলে সে বিশেষ কিছু করতে পারবে।”

রত্না না থাকায় ২০০৪ ইসলামাবাদ সাফ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জেতা শারমিন আক্তার, সুরাইয়া আক্তার, জাকিয়াদের ওপর প্রত্যাশার চাপটা এবার বেশি। এই মেয়েরাও আবার অলিম্পিকের বাছাইয়ে হতাশ করেন।

মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে তৃপ্তি দত্ত ৩৪তম, উম্মে জাকিয়া সুলতানা ৪০তম এবং শারমিন আক্তার ৪৪তম হন। ১০ মিটার এয়ার পিস্তলেও আসেনি ভালো স্কোর; ৪৫ জনের মধ্যে আরমিন আশা ১৪তম, আরদিনা ফেরদৌস ৩৪তম এবং সিনথিয়া টুম্পা ৪৪তম হন।

অলিম্পিকের বাছাইয়ে ভালো করা ভারতের শুটাররা এসএ গেমসেও লড়বেন। ফলে সোনার হাসি হাসার পথটা বাংলাদেশের শুটারদের কমে যাচ্ছে আরও। রিংকি অবশ্য বাস্তবতা মেনেই আশাবাদী হয়ে উঠছেন। ছেলেদের ইভেন্টে বাকি আর ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে আরমিন আশাকে নিয়ে পদকের স্বপ্ন দেখছেন তিনি, “প্রস্তুতি ক্যাম্পে আশা ভালো করেছে। আমার বিশ্বাস এসএ গেমসে সে পারবে।”