আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের গুয়াহাটি-শিলংয়ে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) স্কোয়াশে বাংলাদেশের চাওয়াটা দলগত পদকের দিকে বেশি। অবশ্য অধিনায়ক স্বপন আর টিমের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড় মোহাম্মদ সুমনের ব্যক্তিগত ইভেন্টে ভালো করতেও মুখিয়ে আছেন।
স্কোয়াশে ছেলে ও মেয়েদের ইভেন্ট থাকলেও বাংলাদেশ শুধু ছেলেদের ইভেন্টে অংশ নেবে। দলগত ইভেন্টে স্বপন, রাজন কুমার রাজু আর সুমনের খেলার সম্ভাবনা বেশি। তিন জনের মধ্যে স্বপন কলম্বো ও ঢাকায় ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
কলম্বোয় স্বপনের সঙ্গী ছিলেন ভোলালাম চৌহান ও রাম জগদীশ। ঢাকায় রাজন কুমার রাজু ও মাসুদ রানা। এবার রাজন-সুমনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লক্ষ্য পূরণে নামার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান স্বপন।
“তিন মাসের প্রস্তুতি। সবাই (এসএ গেমসের বাংলাদেশের অনান্য ক্রীড়ার প্রতিযোগীরা) প্রস্তুতি শুরু করেছে পাঁচ মাস আগে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আমাদের অনুমতি দিয়েছে দুই মাস পর। তারপরও আমাদের পদক পাওয়ার আশা আছে।”
“সুমন ফিট আছে। মানসিকভাবে ভালো। আশা করি, ব্যক্তিগত ইভেন্টে ও ভালো করবে।”
প্রস্তুতির সময় আর আনুষঙ্গিক সুবিধা মিললে এসএ গেমসে আরও ফলের আশা করা সম্ভব হতো বলে দাবি করেন স্বপন, “সোনার পদকের স্বপ্ন দেখাতে পারছি না। আমাদের নিজস্ব কমপ্লেক্স নেই। কমপ্লেক্স থাকলে আমাদের অনূর্ধ্ব-১৮ ও ১৯ থেকে খেলোয়াড় উঠে আসত। তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সুযোগ পেতো; অভিজ্ঞতা অর্জন করত; তখন আমরা এসএ গেমসে গোল্ড পাওয়ার আশা করতে পারতাম।”
প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যের ব্যবধান জানিয়ে রূপার লক্ষ্যটা জানান অধিনায়ক।
“ভারত ও পাকিস্তান অনেক এগিয়ে। শ্রীলঙ্কা আর আমরা সমানে সমান। লক্ষ্য ব্রোঞ্জ ছাড়িয়ে যাওয়া; এ ক্ষেত্রে আমাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কা। তাদের হারাতে পারলে পরে আমরা ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে ফাইট দিতে পারব।”
“এসএ গেমসে বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা অংশ নেবেন; বর্তমান বিশ্বের নাম্বার ১৮ সৌরভ ঘোষাল। গত এশিয়ান গেমসেও সোনা ও রূপা জেতেছে; সেও খেলবে এ আসরে,” যোগ করেন স্বপন।
কমপ্লেক্স তো দূর অস্ত, এসএ গেমসের জন্য স্কোয়াশের অনুশীলন চলছে এখানে-ওখানে। তারপরও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন স্বপন, “বাংলাদেশ আর্মি ক্লাবে অনুশীলন করেছি। এরপর গুলশান ক্লাবে। তারপরও পদক পাওয়ার আশা আছে আমাদের।”