রিয়াল ২-০ গোলে জিতলেও রোববার এইবারের মাঠে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি রোনালদোরা। ম্যাচে গোলে প্রথম শটটা নিয়েছিল স্বাগতিকরাই। তবে গোলের প্রথম ভালো সুযোগটা পায় রিয়াল।
পঞ্চদশ মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বল ধরেছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তবে পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ডের উঁচিয়ে মারা শট হাত দিয়ে ঠেকিযে দেন গোলরক্ষক।
বিরতির আগে প্রথম পাওয়া কর্নার থেকে গোল আদায় করে নেয় রিয়াল। কর্নার থেকে বল নিয়ে ৪৩তম মিনিটে করা লুকা মদ্রিদের ক্রসে দারুণ হেডে গোল করেন গ্যারেথ বেল। বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ওয়েলসের এই ফরোয়ার্ড। তবে জটলা থেকে তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
বিরতির পর প্রথম ৫ মিনিটে গোল শোধের জন্য দুটি ভালো আক্রমণ চালায় এইবার। তবে গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে ফাঁকি দেওয়া যায়নি।
এরপর আক্রমণ চালিয়ে পর পর তিনটি কর্নার পায় এইবার। ৬১তম মিনিটে দলটির জাপানি মিডফিল্ডার তাকাশি ইনুইয়ের শট প্রথমে ঠিকমতো ঠেকাতে না পারলেও বিপদ হতে দেননি কোস্টা রিকার গোলরক্ষক নাভাস।
৬৩তম মিনিটে পেছন থেকে হালকা ধাক্কায় ডি-বক্সে রোনালদো পড়ে গেলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। রোনালদোর মতো তা মানতে পারেনি রাফায়েল বেনিতেসও। রেফারি ছুটে গিয়ে রিয়াল কোচকে সতর্ক করে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুতেও এভাবে পড়ে গিয়ে পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন রোনালদো।
৭১তম মিনিটে রোনালদো হতাশ হন নিজের দোষেই। লুকাস ভাসকেসের বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি।
তবে ৮২তম মিনিটে অবশ্য পেনাল্টি থেকে গোল করে রোনালদোর মুখে হাসি ফোটে। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ভাসকেস মামুলি বাধায় ডি-বক্সে পড়ে গেলে দর্শকদের দুয়ো ধ্বনির মধ্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
একাদশ রাউন্ডে সেভিয়ার কাছে ৩-২ গোলে হারের পর গত শনিবার বার্সেলোনার কাছে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় রিয়াল। স্বস্তির এই জয় রিয়ালকে শিরোপা লড়াইয়ে রেখেছে। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান ফের ৬ পয়েন্টে নামিয়ে এনেছে তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল।
১৩ ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৩। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ২৯।