এই জয়ে লিগের পয়েন্ট তালিকায় আপাতত শীর্ষেও উঠে এসেছে সিটি। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৯। সমান ম্যাচে সাউথহ্যাম্পটনের পয়েন্ট ২০।
ইপিএলের দ্বাদশ রাউন্ডে অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে ড্রয়ের পর লিভারপুলের কাছে ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে হারে দলটি। আর সবশেষ গত বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইউভেন্তুসের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল সিটি।
নিজেদের মাঠ ইতিহাদে শনিবার ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো সিটি। কিন্তু বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে রাহিম স্টার্লিংয়ের নেওয়া কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
ষষ্ঠ মিনিটে আলেকসান্দার কোলারভের ফ্রি-কিক ক্রসবারে লাগলে ফের হতাশ হতে হয় সিটি সমর্থকদের।
তবে নবম মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় সিটি। প্রতিপক্ষের এক জনের থেকে বল কেড়ে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলমুখে পাস দেন স্টার্লিং। আর অনায়াসে বল জালে জড়ান বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইন।
২২তম মিনিটে ব্যবধান কমাতে পারতো সাউথ্যাম্পটন। কিন্তু ২৫ গজ দূর থেকে ডাচ ডিফেন্ডার ভিরগিল ফন ডাইকের আচমকা বিদ্যুৎগতির শট ক্রসবারে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলার আভাস দেয় অতিথিরা। ডান দিক থেকে সাদিও মানের ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেডে বল জালে জড়ান আইরিশ ফরোয়ার্ড শেন লং।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য তেমন কোনো নাটকীয়তা হয়নি। ৬৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-১ করে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন কোলারভ। দারুণ গোছানো এক আক্রমণে ডি ব্রুইনের বাড়ানো বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন সার্বিয়ার এই ডিফেন্ডার।