নেইমারের জোড়া গোলে বার্সার দারুণ জয়

লিওনেল মেসি দলে থাকুক বা না থাকুক, দুর্দান্ত খেলেই চলছেন নেইমার। লা লিগায়  ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে সহজেই রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়েছে বার্সেলোনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2015, 04:59 PM
Updated : 29 Nov 2015, 02:42 PM

বার্সেলোনার ৪-০ গোলের জয়ে অপর দুটি গোল আক্রমণভাগের অন্য দুই তারকা মেসি ও লুইস সুয়ারেসের।

শনিবার কাম্প নউতে তৃতীয় মিনিটে প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল পেতে পারতো স্বাগতিকরা। নেইমারের বাড়ানো বল ধরে সুয়ারেসের শট এগিয়ে এসে ফিরিয়ে দেন সোসিয়েদাদ গোলরক্ষক। একাদশ মিনিটে ডি-বক্সে নেইমারের পা থেকে বল কেড়ে নেন তিনি।

ত্রয়োদশ মিনিটে গোলরক্ষক নয়, বার্সেলোনাকে গোল বঞ্চিত করে পোস্ট। সুয়ারেসের মাপা চিপে ইনিয়েস্তার হেড গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও বল লাগে বাঁ পোস্টে।

২২তম মিনিটে নিঁখুত ফিনিশিংয়ে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন নেইমার। মেসির বাড়ানো বল ধরে ডান প্রান্ত থেকে ডি-বক্সে নিচু ক্রস দিয়েছিলেন দানি আলভেস। মার্কারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠাতে সমস্যা হয়নি এই মৌসুমে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ব্রাজিল অধিনায়কের।

বিরতির চার মিনিট আগে বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোলের যোগানদাতা আবার ব্রাজিলের আলভেস। গোলের সামনে মেসি-নেইমার দুই জনই ছিলেন। তবে ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে করা ব্রাজিলের ডিফেন্ডারের চিপ পৌঁছে একটু দূরে থাকা সুয়ারেসের কাছে। দারুণ ভলিতে বল জালে পাঠাতে একটুও বেগ পেতে হয়নি উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ডের।

বিরতির বাঁশি বাজার একটু আগে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেইমারের ক্রসে মাথা লাগাতে পারেননি মেসি। সেটা হলে প্রথামার্ধেই ভয়ঙ্কর ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর সবারই গোল পাওয়া হয়ে যেত।

বিরতির পর বার্সেলোনার আক্রমণে একটুও ভাটা পড়েনি; সময় লাগেনি ব্যবধান বাড়াতেও।

৫৩তম মিনিটে ইনিয়েস্তার বাড়ানো বল ধরে বাঁ দিক থেকে ডি-বক্সে নিচু ক্রস দিয়েছিলেন জেরেমি মাথিউ। গোল পেতে পারতেন পোস্টের সামনে থাকা মেসি, নেইমার বা সুয়ারেসের যে কেউই। বলটা প্রথম ছোঁয়াতেই জালে ঠেলে দেন ব্রাজিল অধিনায়ক। লা লিগার এই মৌসুমে নেইমারের গোল হলো সর্বোচ্চ ১৪টি।

এরপর পর পর তিন মিনিটে তিনটি গোলের সুযোগ এসেছিল বার্সেলোনার।

৫৯তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে নেইমারের দারুণ ক্রসে মেসির শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে যায়। পরের মিনিটে নেইমারের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে শট নিয়েছিলেন মেসি; তবে বল জমা পড়ে গোলরক্ষকের গ্লাভসে।

৬১তম মিনিটে ডি-বক্সে বল পেয়ে আগের দুই গোলের মতো প্রথম ছোঁয়াতেই শট নিতে পারেননি নেইমার, গোলও হয়নি। ৬৮তম মিনিটে বিপজ্জনক জায়গা থেকে মেসির ফ্রি-কিক লক্ষ্যে থাকেনি।

পুরো ম্যাচে গোছাল কোনো আক্রমণ তৈরি করতে মেসি-নেইমারদের আক্রমণ রুখতে ব্যস্ত সোসিয়েদাদ। ৮৬তম মিনিটে গোলের যাও একটা সুযোগ পেয়েছিল অতিথিরা, তা ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো।

পরের মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বল থেকে মেসির শট লাগে ক্রসবারে। একটু পরেই আরেকটি আক্রমণ থেকে মেসির জোরাল শট কোনোমতে ঠেকান এক ডিফেন্ডার।

তবে মেসিকে গোল বঞ্চিত রাখা যায়নি। যোগ করা সময়ে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের এই গোলের পুরো কৃতিত্ব অবশ্য নেইমারের। এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে বল এসে ডি-বক্সে অরক্ষিত মেসিকে বল যোগান দেন ম্যাচের সবচেয়ে উজ্জ্বল এই খেলোয়াড়। শেষ দিকে হ্যাটট্রিক করার সুযোগও পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা নেইমার।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৩৩। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের চেয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রোববার এইবারের মাঠে জিতে ব্যবধান কমানোর সুযোগ থাকছে রাফায়েল বেনিতেসের দলের।