মাঝমাঠ ঘিরেই মারুফুলের আক্রমণের ছক

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে গোলের জন্য ফরোয়ার্ডদের পাশাপাশি মিডফিল্ডারদের দিকেও তাকিয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ মারুফুল ইসলাম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2015, 02:19 PM
Updated : 28 Nov 2015, 02:27 PM

সাফ ফুটবলের ২৮ জনের প্রাথমিক দলে নয় জন মিডফিল্ডার, ফরোয়ার্ড চারজন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শনিবার দল ঘোষণার পর ঘরোয়া ফুটবলে দারুণ সাফল্য পাওয়া মারুফুল জানান, মাঝমাঠকেন্দ্রিক আক্রমণ সাজানোর ছক কষছেন তিনি।

প্রাথমিক দলে থাকা মাঝমাঠের নয় খেলোয়াড় হলেন জামাল ভূইয়া, মামুনুল ইসলাম, মোনায়েম খান রাজু, সোহেল রানা, মাশুক মিয়া জনি, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, আবুল বাতেন মজুমদার কমল, জাহিদ হোসেন ও জুয়েল রানা। এদের মধ্যে জাহিদ আর জুয়েল খেলেন দুই উইংয়ে।

শাখাওয়াত হোসেন রনি, জাহিদ হাসান এমিলি, আমিনুর রহমান সজীব ও নাবীব নেওয়াজ জীবন-এই চার ফরোয়ার্ড ঠাঁই পেয়েছেন প্রাথমিক দলে। তবে মাঝমাঠকেন্দ্রিক আক্রমণের ছক করে ফরোয়ার্ডদের ওপর চাপ কমানোর কৌশল সাজাচ্ছেন কোচ।

এই কৌশল নেওয়ার কারণ পুরোনো-ফরোয়ার্ডদের প্রত্যাশিত গোল না পাওয়ার ব্যর্থতা। শেখ জামাল ধানমণ্ডিকে ভুটানের কিংস কাপ জেতানো কোচ মারুফুলও বললেন, “স্ট্রাইকার সমস্যাটা আমাদের দীর্ঘদিনের। আগে যেখানেই (ক্লাব পর্যায়ে) কাজ করেছি, মিডফিল্ড নিয়ে কাজ করেছি। অধিকাংশ সময় তারাই ম্যাচ বের করে এনেছে। জাতীয় দলেও কৌশলটা একই রকম হবে।”

গত অক্টোবরে হওয়া শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে দেশি ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চার গোল করেন জাহিদ। এক গোল করেন হেমন্ত আর ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল। ফরোয়ার্ডরা কোনো গোলই পাননি।

রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এ পর্যন্ত খেলা সাত ম্যাচের পরিসংখ্যান ঘাটলে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের দৈন্যদশা আরও প্রকটভাবে চোখে পড়ে। সাত ম্যাচে ২৪ গোল হজম করে দুই গোল দিয়েছে বাংলাদেশ। এই দুই গোলের একটি আবার কিরগিজস্তানের বিপক্ষের আত্মঘাতী গোল; অন্যটি তাজিকিস্তানের বিপক্ষে এমিলির করা।

বিষয়গুলো মাথায় রেখে সাফের শিরোপা পুনরুদ্ধারে সেরা একাদশে বেশি ফরোয়ার্ড না খেলানোর ইঙ্গিতই দিয়েছেন মারুফুল।

“এক ফরোয়ার্ড নিয়েই খেলার পরিকল্পনা থাকবে আমার।”

কোচের ভাবনাটা মাঝমাঠকে ঘিরে থাকার আরেকটি কারণ হয়ত জাহিদ ও জুয়েলের ফেরা। ঘরোয়া ফুটবলে আলো ছড়ানো এই দুই জনকে নিয়ে আগেও উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন মারুফুল। শনিবারও কোচ জানান, এই দুজনের ফিটনেস নিয়ে কিছুটা ভাবনা আছে তার।

“শেখ কামাল টুর্নামেন্টে খেলার সময় চোট পেয়েছে জাহিদ। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছে; অনুশীলনও করছে সে। জুয়েল গত দুই দিন বুয়েট মাঠে আমার সঙ্গে ট্রেনিং করেছে। আশা করি, এই দুজনকে আমি পাব। শেষ পর্যন্ত ওরা যদি ফিট থাকে, তাহলে আমিও ভালো একটা কম্বিনেশন তৈরি করতে পারব।”

ক্লাব কাপে ভালো খেলেও সে সময়কার জাতীয় দলের কোচ ফাবিও লোপেজের কাছে অপাংক্তেয় ছিলেন জাহিদ। জুয়েল দলের বাইরে ছিলেন জন্ডিসের কারণে। কোচ সাফের জন্য ২০ জনের দল চূড়ান্ত করার আগে জাহিদ, জুয়েলের জন্য তাই শতভাগ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার চ্যালেঞ্জটাও থাকছে।

আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভারতের কেরালায় শুরু হবে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের একাদশ আসর। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে টুর্নামেন্টের শিরোপাধারী আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ভুটান।