ইতালির তুরিনে বুধবার রাতে মারিও মানজুকিচের একমাত্র গোল ইউভেন্তুসের জয় এনে দেয়। প্রথম লেগে সিটির মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির শিষ্যরা।
গ্রুপের অপর ম্যাচে সেভিয়াকে নিজেদের মাঠে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বরুসিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখ। তবে জিতলেও স্পেনের দলটির মতো জার্মান দলটিকেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে।
পাঁচ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ডি গ্রুপের শীর্ষে ইউভেন্তুস। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় সিটি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইউভেন্তুস সেভিয়ার (৫ পয়েন্ট) এবং সিটি মনশেনগ্ল্যাডবাখের (৩ পয়েন্ট) মুখোমুখি হবে। এ দুটি ম্যাচ বুফ্ফন ও আগুয়েরোদের জন্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই।
ইউভেন্তুসের মাঠে ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত সিটি। কিন্তু ফের্নান্দিনিয়োর দূরপাল্লার শটে সের্হিও আগুয়েরো পা ছোঁয়াতে পারেননি। এরপর ব্রাজিলের ফেরনান্দিনিয়োর আরেকটি শটও লক্ষ্যে থাকেনি।
অষ্টাদশ মিনিটে তৈরি করা প্রথম ভালো সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় ইউভেন্তুস। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পল পগবার মাপা ক্রসে মানজুকিচের নেওয়া ভলি সিটি গোলরক্ষক জো হার্টকে পরাস্ত করে।
২৮তম মিনিটে মানজুকিচের জোরাল শট কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে ইউভেন্তুসের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে দেন জো হার্ট।
৪০তম মিনিটে সমতায় ফেরার একটি ভালো সুযোগ হারায় সিটি। গায়েল ক্লিশির এগিয়ে দেওয়া বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শরীরটাকে পুরোপুরি ঘুরিয়ে ইয়াইয়া তুরের শট নিলেও তা পোস্ট ঘেষে বাইরে চলে যায়।
প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি সিটি নষ্ট করে শেষ দিকে। ইউভেন্তুস গোলরক্ষক জানলুইজি বুফ্ফনকে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন আগুয়েরো। ছুটে এসে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়া আগুয়েরোর পথ আগলে দাঁড়ান ইতালির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই গোলরক্ষক।
সিটি ৫৩তম মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ হারায়। কেভিন ডি ব্রুইনের কর্নারে ফেরনান্দিনিয়োর হেড বুফ্ফন ফেরালেও প্রথম দফায় গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি। সামনে থাকা কোত দি ভোয়ার ফরোয়ার্ড তুরে আলতো টোকা দেওয়ার আগেই তা গ্লাভসে জমা করেন ইউভেন্তুস গোলরক্ষক।
৬৮তম মিনিটে আগুয়েরোকে তুলে নিয়ে রাহিম স্টার্লিংকে নামান সিটি কোচ। ইংল্যান্ডের এই উঠতি ফরোয়ার্ডও দলকে সমতায় ফেরা গোল এনে দিতে পারেননি।
মানজুকিচের বদলি হিসেবে নামা আলভারো মোরাতা ৭৯তম মিনিটে জো হার্টকে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত একমাত্র গোলে এগিয়ে থেকেই ইতালির দলটি জয়ের আনন্দে মাতে।