মেসি-সুয়ারেসে বার্সার বিশাল জয়

লুইস সুয়ারেস-নেইমার জুটি ছিল আগের মতো ছন্দময়; চোট কাটিয়ে ফেরা লিওনেল মেসিও নিজেকে মেলে ধরলেন চেনা রূপে। তাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগে বার্সেলোনার কাছে এএস রোমা এক কথায় উড়ে গেল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2015, 10:05 PM
Updated : 25 Nov 2015, 10:41 AM

কাম্প নউতে মঙ্গলবার রাতে রোমার বিপক্ষে বার্সেলোনার জয়টি ৬-১ ব্যবধানের। মেসি ও সুয়ারেস দুটি করে গোল করেন; অপর দুই গোলদাতা জেরার্দ পিকে ও আদ্রিয়ানো। রোমার একমাত্র গোলদাতা এদিন জেকো।

দাপুটে এ জয়ের পর পাঁচ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে বার্সেলোনা। প্রথম লেগে ইতালি থেকে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছিল প্রতিযোগিতাটির বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

ইউরোপ সেরার আসরে ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ব্রাজিল ফরোয়ার্ড নেইমারের লম্বা করে বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সুয়ারেসকে দেন দানি আলভেস; উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড নিখুঁত শটে রোমা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।

তিন মিনিট পরই চোটের কারণে লম্বা বিরতির পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরা মেসি গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় বার্সেলোনা। নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করতে করতে মেসিকে বল বাড়ান সুয়ারেস; বাঁ দিক থেকে আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ডের শট মাটিতে পড়ে অনেকটা বাক খেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে পায়।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে রোমাকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে স্বাগতিকরা। সুয়ারেস দারুণ ভলিতে লক্ষ্যভেদ করলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কাতালুনিয়ার দলটি।

সর্বশেষ ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দেওয়া বার্সেলোনা ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। ৫৬তম মিনিটে জেরার্দ পিকে, ৫৯তম মিনিটে মেসি লক্ষ্যভেদ করলে কাম্প নউতে খেলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টানা নয় ম্যাচে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সেলোনার।

এমএসএন ত্রয়ীর সাজানো আক্রমণ থেকে মেসির ক্রসে বল পেয়ে যান ফাঁকায় থাকা পিকে; বার্সেলোনা ডিফেন্ডার গোলের খাতায় নাম লেখাতে ভুল করেননি।

স্কোরলাইন ৫-০ করা গোলটিও বার্সেলোনা পেয়েছে মেসি-নেইমার-সুয়ারেসের মিলিত আক্রমণ থেকেই। নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি সুয়ারেস; বল পেয়ে যান মেসি। আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ডের শট প্রথম দফায় ফেরালেও ফিরতি শট ঠিকই ঠিকানা খুঁজে পায়।

৭৭তম মিনিটে গোলদাতার তালিকায় নাম ওঠার সুযোগ এসেছিল নেইমারের সামনে। বক্সের মধ্যে নেইমার ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। ব্রাজিলিয়ান তারকার দুর্বল শট রুখে দেন রোমা গোলরক্ষক; তবে ফিরতি শটে স্কোরলাইন ৬-০ করে দেন নেইমারের জাতীয় দল সতীর্থ আদ্রিয়ানো।

এর চার মিনিট পরেই স্বাগতিকদের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্ক বার্ত্রা নিজেদের ডি বক্সে এদিন জেকোকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় রোমা। নিজেই শট নেন বসনিয়ার এই ফরোয়ার্ড, কিন্তু তার দুর্বল শট সহজেই ঠেকান গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন।  

৯০তম মিনিটে অবশ্য ব্যর্থ হননি জেকো। তবে তা কেবল বার্সেলোনার কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোমার প্রথম হারের ব্যবধান কমানোয় যা একটু কাজে এসেছে।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে বাতে বরিসভের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে বায়ার লেভারকুজেন। পাঁচ করে পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে রোমা দ্বিতীয়, লেভারকুজেন তৃতীয় স্থানে আছে। চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের চার দলের মধ্যে চতুর্থ বরিসভ।