শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় চিলির মাঠে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।
২০১৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ায় আগের বার বাছাই পর্বে খেলতে হয়নি ব্রাজিলকে। ২০১৮ বিশ্বকাপ হবে রাশিয়ায়, এবার বাছাইয়ে ফিরতে হয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের। তাদের উপস্থিতিতে এবার দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্বের রোমাঞ্চ আরও বেড়েছে।
কদিন আগেই নিজেদের মাঠে কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতা চিলি আছে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। সেই প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দুঙ্গার ব্রাজিলকে খেলতে হবে দলের সেরা তারকা নেইমারকে ছাড়াই।
লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বরাবরই থাকে নখ কামড়ানো উত্তেজনা। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে যেখানে নিজেদের সেরাটুকু উজাড় করে দিতে হয়। সেখানে নেইমারবিহীন ব্রাজিলকে আরও বেশি কিছু করতে হবে।
গত বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল চিলি। এবার তার মধুর প্রতিশোধ নিতে চাইবেন কোচ হোর্হে সামপাওলি। তবে ব্রাজিল ম্যাচ দিয়ে বাছাই পর্ব শুরু করাটা খুব একটা পছন্দ হচ্ছে না এই আর্জেন্টাইন কোচের।
তিনি মনে করেন, ব্রাজিল ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শুরু করা সম্ভাব্য সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি। অন্য যে কোনো দলের চেয়ে ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলা ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রথম কোনো বড় শিরোপা জেতা চিলির জন্য চ্যালেঞ্জ হবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। চোটের জন্য দলের সবচেয়ে বড় দুই তারকা আলেক্সিস সানচেস ও আর্তুরো ভিদাল শেষ পর্যন্ত খেলতে না পারলে বড় একটা ধাক্কাই খাবে সামপাওলির দল।
নেইমার ও ফেলিপে কৌতিনিয়োর অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলের খেলায় ততটা সৃষ্টিশীলতা নাও থাকতে পারে। কিন্তু দগলাস কস্তা, অস্কার, উইলিয়ানদের উপস্থিতিতে চিলিকে হারানোর সামর্থ্য দুঙ্গার দলের রয়েছে।
ইতিহাসও ব্রাজিলের পক্ষেই আছে। গত ১৫ বছরে ১৪ বার চিলির মুখোমুখি হলেও কখনও হারেনি দলটি। তবে প্রথমবারের কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে উজ্জীবিত চিলি সেই জয় খরা এবার কাটানোর স্বপ্ন দেখতেই পারে।