বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের ম্যাচ হারলেও চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। কিন্তু সেরা পাঁচ রানার্সআপের একটি হতে না পারায় ২০১৬ সালে বাহরাইনের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো না।
যুবাদের স্বপ্ন আসলে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের ড্রয়ের পরই। তবে উজবেকিস্তানকে হারানোর লক্ষ্য নিয়েই শুরু করে বাংলাদেশ; কিন্তু লক্ষ্য পূরণ করতে পারেননি জনি-রোহিতরা। টিটো জানান, শুরুতে হোঁচট খাওয়ার কারণেই তারা পিছিয়ে পড়েছিলেন অনেক।
“শুরুতে গোল না খাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমার; এ কারণে ৫-৪-১ ফরমেশনে শুরু করেছিলাম। কিন্তু দ্রুত গোল খাওয়ায় শুরুতেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। প্রথম গোলটা দুঃখজনক।”
দ্বিতীয় মিনিটে বক্সের জটলার মধ্য থেকে বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমানকে পরাস্ত করেন দস্তোন ইব্রাগিমোভ।
রোহিত-রাব্বীরা বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। তবে টিটো শিষ্যদের সমালোচনা করেননি। উজবেকিস্তানকে ‘টেকনিক্যালি ও ট্যাকটিক্যালি অনেক ভালো’ জানিয়ে কোচ বলেন, “জানতাম আমরা খুব বেশি সুযোগ পাব না। ছোট-ছোট সুযোগ পাব কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।”
গত অগাষ্টে নেপালের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করে আসার পর থেকে এএফসির এই বাছাই পর্বের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে ইব্রাহিম-বাদশারা। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে তাদের খুব কম সময় গোছালো দেখা গেছে। টিটো ব্যর্থতার দায়ভার নিলেও শিষ্যদের সমালোচনা করছেন না।
“আমার মনে হয়, প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল না; সামর্থ্যের সেরাটা দিয়েই আমি ওদের প্রস্তুত করেছি। ছেলেরাও সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে কিন্তু হয়নি। আসলে এই ছেলেদের পরিপক্ক হতে আরও সময় লাগবে।”
টানা তিন জয় নিয়ে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে ওঠায় দারুণ খুশি উজবেকিস্তান কোচ আবদুরাইমভ জাসুর, “প্রথমার্ধ আমাদের জন্য একটু কঠিন ছিল। তবে ম্যাচের ফলে আমরা খুশি। মূল পর্বে ওঠার লক্ষ্য নিয়েই এসেছিলাম এবং সেটা পূরণ হয়েছে।”