বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রোববার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ। এই ড্রয়ে সেরা পাঁচ রানার্সআপের একটি হয়ে ২০১৬ সালে বাহরাইনের মুল পর্বে খেলার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল বাংলাদেশের।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে হারানোর পুনরাবৃত্তি নিজেদের মাঠে করতে না পারাটা ‘লজ্জার বিষয়’ জানিয়ে টিটো বলেন, “নিজেদের মাঠে ভুটানের বিপক্ষে জেতা উচিত ছিল। সেরা রানার্সআপ হওয়ার সুযোগও ছিল আমাদের সামনে কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ভুটানের সঙ্গে ড্র মোটেও শোভন নয়।”
“ব্যর্থতার পুরো দায়ভার আমার। ভুটান প্রেসিং ফুটবল খেলেছে। ওরা কিভাবে খেলবে, ওদের বিপক্ষে আমাদের কিভাবে খেলতে হবে-সবই ছেলেদের বলা ছিল। আমার ব্যর্থতা আমি হয়ত ছেলেদের বোঝাতে পারিনি; অনুপ্রাণিত করতে পারিনি”, যোগ করেন টিটো।
ষষ্ঠ মিনিটে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৭৭তম মিনিটে মাশুক মিয়া জনির গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। তবে পুরো ম্যাচ ভুল পাস, প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে রোহিত-রাব্বী-নিপুদের তালগোল পাকিয়ে ফেলা কোচকে বিস্ময়ে হতবাক করে দিয়েছে।
“দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, সেভাবে কেন প্রথমার্ধে খেলল না, সেটা আমার কাছে বিস্ময়ের। এর (এই ড্র) চেয়ে হতাশার কিছু আমার কোচিং ক্যারিয়ারে নেই।”
প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা গুছিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তবে ভুটানকে হারানোর জন্য তা যথেষ্ঠ ছিল না বলে জানান টিটো। প্রতিপক্ষ ভুটানের খেলার প্রশংসা করতে ভোলেননি তিনি।
আগামী মঙ্গলবার টানা দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপে শীর্ষে থাকা উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্বাগতিকদের জন্য এটা মূল পর্বের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচ বলে মানছেন টিটো। ফেভারিট উজবেকিস্তানের বিপক্ষে জেতাটা কঠিন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
“শেষ ম্যাচে জিতলে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে যাওয়ার সুযোগও আমাদের থাকবে। ড্র করলে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে সেরা রানার্সআপ হওয়ার সুযোগ মনে হয় আমাদের নেই। তবে আলৌকিক (উজবেকিস্তানকে হারানো) কিছুর পাশাপাশি বাস্তবতাটাও মনে রাখতে হবে আমাদের।”
প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের কাছে সাত গোল হজম করা ভুটান কোচ দ্বিতীয় ম্যাচের ফলে খুব খুশি নন। বাংলাদেশের দ্বিতীয়ার্ধে খেলা আক্রমণাত্মক ফুটবলের প্রশংসা করে চকি নিমা বলেন, “সব দিক থেকে বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে ভালো। আমাদের লক্ষ্য ছিল সেরাটা দেওয়ার; আমার মনে হয়, আমরা সেটা পারিনি।”