ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবারের ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়া সিটির সব শঙ্কা ২০ মিনিটের মধ্যে পাঁচ গোল করে একাই উড়িয়ে দেন আগুয়েরো। আট মিনিটে (৪২, ৪৯, ৫০) হ্যাটট্রিক পূরণ করা এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পরে ৬০ ও ৬২তম মিনিটে আরও দুইবার লক্ষ্যভেদ করেন। সিটির অন্য গোলটি কেভিন ডি ব্রুইনের।
কোল, অ্যালান শিয়েরার, জার্মেইন ডেফো ও দিমিতার বারবাতভের পর পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে এক ম্যাচে পাঁচ গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন আগুয়েরো।
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে ইউরোপ সেরার আসরে হারানোর তৃপ্তি নিয়ে লিগ ম্যাচ খেলতে নামে সিটি। তবে মানুয়েল পেল্লেগ্রিনির দলকে চোখ রাঙাচ্ছিল সর্বশেষ দুই লিগ ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যাম ও টটেনহ্যামের বিপক্ষে দুটি হার।
দারুণ এই জয়ে আট ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লিগের শীর্ষে উঠেছে সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না সিটির। অষ্টাদশ মিনিটে স্বাগতিক সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন আলেকসান্দার মিত্রোভিচ।
দ্বিতীয়ার্ধে এক মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ম্যাচের লাগাম সিটির মুঠোয় এনে দেন আগুয়েরো।
৪৯তম মিনিটে সিলভার বাড়ানো বলে আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট প্রতিপক্ষের এক ফুটবলারের পায়ে খানিকটা দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
৫৩তম মিনিটে ডি ব্রুইন সিটির জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন। হেসুস নাভাসের ক্রস বাতাসে থাকতেই অসাধারণ এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন বেলজিয়ামের এই মিডফিল্ডার।
ছয় মিনিট পর স্কোরলাইন ৫-১ করে দেন আগুয়েরো। সিলভার বাড়ানো বল ধরে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের গতিময় শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
পাঁচ গোল করা আগুয়েরোকে ৬৫তম মিনিটে তুলে নিয়ে উইলফ্রেদ বোনিকে নামান সিটি কোচ পেল্লেগ্রিনি। এরপর আর গোল পায়নি লিগের ২০১৩-১৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা।
লিগের অন্য ম্যাচে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে ওয়েস্ট ব্রমকে হারিয়েছে ক্রিস্টাল প্যালেস। ৮ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তারা।
নরিচ সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ক্রিস্টালের সমান পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে লেস্টার সিটি।
সান্ডারল্যান্ডের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করা ওয়েস্ট হ্যাম ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে পঞ্চম স্থানে।