সেভিয়ার কাছে হেরেই গেল বার্সা

ভাগ্য সহায় হলে হয়তো বড় ব্যবধানেই জিততে পারতো বার্সেলোনা। কিন্তু দুইবার বারে আর একবার ক্রসবারে লেগে তিনটি সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর সেভিয়ার কাছে শেষ পর্যন্ত হেরেই গেছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2015, 04:02 PM
Updated : 4 Oct 2015, 07:24 AM

শনিবার প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারে বার্সেলোনা। চলতি মৌসুমে স্প্যানিশ লা লিগায় শিরোপাধারীদের এটি দ্বিতীয় হার। সেভিয়ার গোল দুটি করেন মাইকেল ক্রন-ডেহলি ও ভিসেন্তে ইবোরা। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার।

শুরু থেকেই বার্সেলোনার ওপর চাপ তৈরি করে সেভিয়া। কিন্তু তাদের আক্রমণের ঝাপটা সামলে পাল্টা আক্রমণে যেতে বেশি সময় নেয়নি লুইস এনরিকের দল। প্রথম সত্যিকারের সুযোগটি তৈরি করে তারাই। 

নবম মিনিটে সের্হিও বুসকেতসের হেড থেকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেলেও ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরে সেই সুযোগটি হাতছাড়া করেন মুনির এল হাদ্দাদি।

পাঁচ মিনিট পর দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ আসে সুয়ারেসের সামনে। নেইমারের কাছ থেকে চমৎকার পাস পেলেও ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিতে পারেননি উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।

লিওনেল মেসিবিহীন বার্সেলোনার আক্রমণভাগ মাঝে মধ্যেই ছন্দ হারাচ্ছিল। সেই সুযোগে বার্সেলোনার রক্ষণভাগে চাপ তৈরি করছিল সেভিয়া। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় প্রথমার্ধে একটি সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগটি পেয়েছিল ২১তম মিনিটে। মাইকেল ক্রন-ডেহলির দারুণ পাসে কেভিন গামেইরোর শট সেবার কোনোমতে এক হাতে ফেরান চোট কাটিয়ে দলে ফেরা ক্লাওদিও ব্রাভো।

দুই মিনিট পরই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। নেইমারের অসাধারণ ফ্রি-কিক বারে লেগে গোল লাইনের সামনে দিয়ে ঘুরে চলে আসে।

৩৮তম মিনিটে আবার অতিথিদের জন্য হতাশা। এবার মুনিরের কাছ থেকে পাস পেয়ে শট নেন সুয়ারেস। কিন্তু উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের শট লাগে ক্রসবারে।

দ্বিতীয়ার্ধে ৫২তম মিনিটে সেভিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার কৃতিত্ব ক্রন-ডেহলির। গামেইরোর নিচু ক্রসে খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠান ডেনমার্কের এই মিডফিল্ডার।

তিন মিনিট পর ভিতোলার পাস থেকে ফরাসি ফরোয়ার্ড গামেইরোর শট এক জনের গায়ে লেগে অন্য দিকে চলে গেলে বেঁচে যায় বার্সেলোনা।

৫৮তম মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি সেভিয়াকে। ক্রন-ডেহলির দারুণ ক্রসে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ভিসেন্তে ইবোরার হেড জালে জড়ালে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

দ্রুত দুই গোল হজম করা বার্সেলোনা পাল্টা আক্রমণে গেলেও ৬৩ ও ৬৪ মিনিটে নেইমারের দুটি দারুণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন সেভিয়ার গোলরক্ষক সের্হিও রিকো।

বেনুইতের হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। ৭৪তম মিনিটে নেইমার ব্যবধান কমানোর এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি। লাস পালমাসের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারলেও এবার গোলরক্ষককে পরাস্ত করে ঠিকই বল জালে পাঠান ব্রাজিলের অধিনায়ক।  

পাঁচ মিনিট পরেই ম্যাচে সমতা ফিরতে পারতো। সুয়ারেসের কাছ থেকে বল পেয়ে খুব কাছ থেকে শট নেন সান্দ্রো। কিন্তু তার শট বারে লেগে ফিরলে আবারও অতিথিদের হতাশ হতে হয়।

শেষ দিকে সেভিয়ার ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করলেও আর গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা।

৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগে তিন নম্বরে রয়েছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত ১০ নম্বরে উঠে এসেছে সেভিয়া।