এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়ে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে পোর্তোর ব্রাস আন্দ্রে ও মাইকন একটি করে গোল করেন। ইউরোপ সেরার এবারের আসরে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া চেলসির একমাত্র গোলদাতা উইলিয়ান।
মাকাবি তেল আবিবকে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হারিয়ে আসা চেলসি পোর্তোর বিপক্ষে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। কিন্তু ইকের কাসিয়াসকে পরাস্ত করে চেলসিকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন পেদ্রো, সেস ফাব্রেগাসরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জাভির সর্বোচ্চ ম্যাচের রেকর্ড নিজের করে নেওয়া কাসিয়াস (১৫২ ম্যাচ) শুরু থেকেই পোস্টের নিচে ছিলেন দুর্বার। ফাব্রেগাসের গতিময় শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেওয়ার পর ত্রয়োদশ মিনিটে চেলসিকে আবারও গোল বঞ্চিত করেন রিয়াল মাদ্রিদের এই সাবেক গোলরক্ষক। ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ পজিশনে পেদ্রোর শট শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে আটকে দেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগে সাত ম্যাচে মাত্র দুটি জয় পাওয়া চেলসিকে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে স্বস্তির হাসি এনে দেন উইলিয়ান। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের ফ্রি কিক পোর্তোর রক্ষণ দেয়ালের ওপর দিয়ে ভেসে কাসিয়াসকে প্রতিরোধের কোনো সুযোগ না দিয়ে জালে জড়ায়।
চেলসির বর্তমান কোচ মরিনিয়োর হাত ধরে ২০০৪ সালে দ্বিতীয় ও সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা পোর্তো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের এগিয়ে যায়। ৫২তম মিনিটে কর্নার থেকে বুদ্ধিদীপ্ত এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মাইকন।
এরপর একটু একটু করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নিয়ে চেলসির রক্ষণে চাপ তৈরি করতে থাকে পোর্তো। বেশ কিছু আক্রমণও করে তারা কিন্তু বসনিয়া-হার্জেগোভিনার গোলরক্ষণ বেগোভিচ স্বাগতিকদের আর গোল উৎসব করতে দেননি। তাতে অবশ্য আটকায়নি নিজেদের প্রথম ম্যাচে দিনামো কিয়েভের সঙ্গে ড্র করে আসা পোর্তোর জয়োৎসব।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে চেলসির কাছে হেরে আসা মাকাবি তেল আবিব নিজেদের মাঠেও ২-০ গোলে দিনামো কিয়েভের কাছে হেরেছে।
দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে উঠে এসেছে পোর্তো। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিনামো কিয়েভ। আর প্রতিযোগিতাটির ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন চেলসি তিন পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে।