ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের আরেকটি হার

প্রতিশোধের স্বপ্ন পূরণ হয়নি পর্তুগালের। উল্টো আরেকবার ফরাসিদের বিপক্ষে হারের কষ্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ২০০৪ সালে ইউরোর রানার্সআপদের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2015, 09:28 PM
Updated : 4 Sept 2015, 09:28 PM

নিজেদের মাঠে শুক্রবার রাতে ১-০ গেলে হেরেছে পর্তুগাল। ফ্রান্সের জয়সূচক গোলটি করেন মাথিউ ভালবুয়েনা।

গত অক্টোবরে ফ্রান্সের মাঠে ২-১ গোলে হেরে আসার পর থেকে পর্তুগালের পারফরম্যান্স এককথায় দারুণ, শেষ আট ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছে তারা। তাই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে এদিন খেলতে নামে পর্তুগিজরা। তারপরও একটা পরিচিত ভয় হয়তো ঠিকই ছিল, এই ফরাসিদের বিপক্ষে বারবারই যে হোঁচট খেতে হয়েছে রোনালদো-নানিদের।

গত অক্টোবরের ওই ম্যাচসহ ফ্রান্সের সঙ্গে শেষ পাঁচবারের মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রতিটিতেই হেরেছে পর্তুগাল। আগের তিনবারের মতো এবারও তাই পুরনো কষ্টে একটা প্রলেপ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল তাদের।

ঘরের মাঠে খেলার বাড়তি সুবিধাও ছিল পর্তুগালের। তারপরও প্রথমার্ধে কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি তারা। নিজেদের গুছিয়ে নিতেই অনেকটা সময় নিয়ে নেয় তারা। এর মাঝে ৩১তম মিনিটে উল্টো পিছিয়ে পড়ার মুখে পড়েছিল দলটি। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ফরাসি মিডফিল্ডার ব্লেইস মাতুইদি লক্ষভেদে ব্যর্থ হলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।

আক্রমণভাগে তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা রোনালদো ও অভিজ্ঞ নানি থাকলেও প্রথম ৪০ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলমুখে কোনো শটই নিতে পারেনি পর্তুগাল। পরের মিনিটেই অবশ্য কাঙ্ক্ষিত গোল পেতে পারত তারা, কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ তারকা সহজ সুযোগ নষ্ট করলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।

মাঠে ছিলেন ইউরোপের সফলতম ক্লাব রিয়ালের আক্রমণভাগের আরেক তারকা করিম বেনজেমাও। কিন্তু ফরাসি এই স্ট্রাইকারও তেমন কোনো আশানুরূপ পারফরম্যান্স করেননি। ইউভেন্তুসের মিডফিল্ডার পল পোগবা ও আতলেতিকো মাদ্রিদের আন্তোনিও গ্রিজমান অবশ্য বেশ উজ্জ্বল ছিলেন। প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ভালোই ব্যস্ত রাখেন তারা দুজন।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ তৈরি করে পোগবা-গ্রিজমান জুটি। কিন্তু গোলমুখে দুর্বল শট নেন বদলি স্ট্রাইকার গ্রিজমান।

এই অর্ধেও অনেকটা সময় রোনালদো জ্বলে উঠতে না পারায় ৬৭তম মিনিটে তাকে তুলে নেন কোচ ফের্নান্দো সান্তোস। এর সাত মিনিট পর বেনজেমাকে উঠিয়ে নেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশম।

দুই দলের দুই বড় তারকা উঠে গেলেও শেষ ১০ মিনিটে খেলায় গতি বাড়ে। আর ৮৫তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি পায় ফ্রান্স। পাঁচ মিনিট আগেই বদলি হিসেবে নামা ভালবুয়েনা ২০ গজ দূর থেকে দারুণ বাঁকানো এক ফ্রি কিকে বল জালে জড়ান।

শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবধান ধরে রেখেই পর্তুগালের বিপক্ষে টানা ষষ্ঠ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।