ভারমালেনের গোলে বার্সার প্রতিশোধ

লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেস, নেইমারদের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে উঠেছিলেন মালাগার গোলরক্ষক। কিন্তু আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ঠিকই মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে বার্সেলোনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2015, 08:35 PM
Updated : 29 August 2015, 09:51 PM

কাম্প নউয়ে শনিবার টমাস ভারমালেনের একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে লুইস এনরিকের দল।

লা লিগায় নিজেদের মাঠে প্রথম ম্যাচে দশম মিনিটেই গোল পেতে পারতেন লুইস সুয়ারেস। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বাড়ানো বলে হাত লাগিয়ে উরুগুয়ের স্ট্রাইকারকে হতাশ করেন মালাগার গোলরক্ষক কার্লোস কামেনি।

চার মিনিট পর মেসির একটি প্রচেষ্টা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কামেনি।  

অসুস্থতা কাটিয়ে নেইমার ফেরায় আরও ধারাল ছিল বার্সেলোনার আক্রমণগুলো। মেসি-নেইমার-সুয়ারেসদের সামলাতে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে মালাগা। বার্সেলোনার ডিফেন্ডাররা মাঝ রেখা পার হয়ে আরও ওপরে উঠে আসে।

ক্যাম্প নউতে সর্বশেষ ম্যাচে জেতা মালাগা প্রতি-আক্রমণে গোলের সুযোগ খুঁজছিল। কিন্তু বার্সেলোনার ডিফেন্ডারদের সতর্কতা আর গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভোর দৃঢ়তায় স্বাগতিকদের জাল খুঁজে পায়নি তারা। 

২৭তম মিনিটে মেসির ক্রসে মাসচেরানোর হেডেও এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। এবার কাতালুনিয়ার দলটিকে হতাশ হতে হয় বল ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে গেলে।

প্রতি-আক্রমণ থেকে ৩৫তম মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ পায় মালাগা। কিন্তু এবারও তাদের হতাশ করেন ব্রাভো।

৩৯ ও ৪০তম মিনিটে বার্সেলোনার পেনাল্টির দুটি জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি। প্রথমার্ধে গোলের জন্য আটটি শট নেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা, তার আটটিই ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু কোনোবারই কামেনিকে পরাস্ত করতে পারেননি তারা।  

দ্বিতীয়ার্ধে ৫২তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ আসে নেইমারের সামনে। তার শট কোনোমতে ফেরান মালাগার গোলরক্ষক। পরে কর্নার থেকে ভারমালেনের শটও ব্যর্থ করে দেন তিনি।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। কিন্তু প্রতিপক্ষের ডি বক্সে গিয়ে খেই হারাচ্ছিল তারা। জমাট রক্ষণ ভেঙে গোলের সম্ভাবনা জাগালে চীনের প্রাচীর হয়ে উঠছিলেন গোলরক্ষক কামেনি।

৫৮ ও ৭০তম মিনিটে বার্সেলোনার সেরা তারকা মেসিকে দুইবার হতাশ করেন ক্যামেরুনের কামেনি। মেসি-নেইমার-সুয়ারেসকে হতাশ করলেও বার্সেলোনার একের পর এক আক্রমণে তার প্রতিরোধ আর বেশিক্ষণ টেকেনি।

৭৩তম মিনিটে সুয়ারেসের ক্রস ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্যর্থ করে দেন কামেনি। ফিরতি বলে ভারমালেনের জোরালো শট ফেরানোর কোনো সুযোগই ছিল না তার।

এগিয়ে যাওয়ার পরও আক্রমণের ধার কমেনি বার্সেলোনার। কিন্তু অতিথিদের রক্ষণ আর ভাঙা সম্ভব হয়নি। বরং ম্যাচের যোগ করা সময়ে উল্টো মালাগা সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায়। কিন্তু এবার কোনোমতে বেঁচে যাওয়া বার্সেলোনা টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়।