এমিরেটসে সোমবার রাতে এই ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত লিভারপুল। কিন্তু ডি বক্সের মধ্যে থেকে ফিলিপে কৌতিনিয়োর শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় তাদের।
ভাগ্যের জোরে বেঁচে যাওয়ার পর আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে আর্সেনাল। প্রতিপক্ষের রক্ষণে ক্রমেই চাপ বাড়াতে থাকে তারা। দশম মিনিটে অ্যারন রামজি বল জালেও জড়িয়েছিলেন, কিন্তু লাইন্সম্যানের অফসাইডের সিদ্ধান্তে গোল পায়নি স্বাগতিকরা।
শেষ ১৫ মিনিটে আবার দুদলের খেলায় ছন্দ ফেরে। এই পর্বে আক্রমণে এগিয়ে ছিল অতিথিরা। ৪০তম মিনিটে বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ান বেনতেকের একটি দারুল প্রচেষ্টা লাফিয়ে পড়ে ব্যর্থ করে দেন আর্সেনাল গোলরক্ষক পিয়েতর চেক।
৪৪তম মিনিটে আরেকবার পোস্টে বল লাগার হতাশায় পুড়তে হয় লিভারপুলকে। এবারও দুর্ভাগ্যের শিকার ওই ব্রাজিলের মিডফিল্ডার কৌতিনিয়ো। তার শটটি চেকের আঙুল ছুঁয়ে পোস্টে বাধা পায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে আর্সেনাল। আলেক্সিস সানচেস ও অলিভিয়ে জিরুদরা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু সাফল্য মিলছিল না।
আর্সেনালের গোল মিসের হতাশার ভিড়ে ৫৯তম মিনিটে যোগ হয় পোস্টের বাধা। বাঁ দিক থেকে সানচেসের দারুণ একটি কোনাকুনি শট পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়।
এরপরও চলতে থাকে গোল পেতে মরিয়া আর্সেনালের আক্রমণ।
তাতেও অবশ্য শেষ পর্যন্ত সাফল্য পায়নি আর্সেনাল। এর পেছনে লিভারপুল গোলরক্ষক সিমোন মিগনোলেতের কথা আলাদা করে না বললেই নয়। প্রতিপক্ষের অনেকগুলো আক্রমণ ঠেকিয়ে দলকে বাঁচান বেলজিয়ামের এই গোলরক্ষক।
এই আসরে প্রথম দুটি ম্যাচ জেতা লিভারপুল এদিনেই প্রথম পয়েন্ট হারালো। তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ব্রেন্ডন রজার্সের দল।
অন্যদিকে, হার দিয়ে লিগ শুরু করা আর্সেনাল দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছিল। সমান তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে আর্সেন ভেঙ্গারের দল।
তিন ম্যাচের সবকটিতে জেতা ম্যানচেস্টার সিটি আছে সবার উপরে।