সুয়ারেসের গোলে বার্সার শুভসূচনা

মধুর প্রতিশোধ নিয়ে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার লড়াই শুরু করেছে বার্সেলোনা। লুইস সুয়ারেসের একমাত্র গোলে প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে আথলেতিক বিলবাওকে হারিয়েছে তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2015, 06:44 PM
Updated : 24 August 2015, 04:51 PM

রোববার সান মামেসে দল নিয়ে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যাননি বার্সেলোনার কোচ লুইস এনরিকে। বিলবাওয়ের মাঠে তার শেষবারের পরীক্ষার ফল ছিল অতিথিদের হৃদয় ভেঙে দেওয়ার মতো। স্প্যানিশ সুপার কাপের সেই ম্যাচে ৪-০ গোলে হারেই মূলত বার্সেনোলার বছরে ছয় শিরোপার স্বপ্ন গুড়িয়ে যায়।

ওই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের মাঠেও জয় (১-১ গোলে ড্র) না পাওয়া বার্সেলোনাকে এদিন ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে।

প্রথম আধ ঘণ্টায় কোনো দলই বলার মতো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। অনেক নিচে নেমে খেলছিলেন মেসি, বিলবাওয়ের রক্ষণসীমায় ডিফেন্ডারদের ব্যস্ত রাখছিলেন সুয়ারেস। কিন্তু কোনো আক্রমণই ভীতি ছড়াতে পারেনি স্বাগতিক শিবিরে।

৩০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম সুযোগটি পায় বার্সেলোনা। আথলেতিক বিলবাওয়ের ডিফেন্ডার গোর্কা ইলোসতোন্দো সুয়ারেসকে ফাউল করলে গোলের সুবর্ণ সুযোগ আসে মেসির সামনে।

কিন্তু দলকে হতাশ করেন বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় তারকা। তার বাঁদিকে গড়ানো দুর্বল শট ফেরাতে কোনো সমস্যাই হয়নি স্বাগতিক গোলরক্ষক গোর্কা মোরেনোর। ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ১৪ বার পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেন মেসি।

পাঁচ মিনিট পর বার্সেলোনার স্ট্রাইকার সুয়ারেসের দারুণ একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন বিলবাওয়ের গোলরক্ষক। ফিরতি বলে সুযোগ এসেছিল রাফিনিয়ার সামনেও, কিন্তু জাল খুঁজে পাননি তিনিও।

এর পরপরই মেসির দুটি ফ্রি-কিক ব্যর্থ হয় দেয়ালে লেগে। এদিন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।

প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দুই দলই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করে কিন্তু কোনো দলই প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে সুয়ারেসের গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তবে এই গোলে দারুণ অবদান দুর্দান্ত এক ক্রসে উরুগুয়ের স্ট্রাইকারকে খুঁজে পাওয়া জর্দি আলবার। অরক্ষিত সুয়ারেসকে ঠেকানোর কোনো সুযোগই ছিল না বিলবাওয়ের গোলরক্ষকের।

৬০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ একটুর জন্য হা্তছাড়া হয়ে যায় অতিথিদের। সের্হিও রবের্তোর শট ক্রসবারে লেগে বাইরে গেলে বার্সেলোনার একটা পরিকল্পিত আক্রমণ শেষ হয় হতাশায়।

পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বিলবাও। কিন্তু বার্সেলোনার জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা। শেষ তিন ম্যাচে নয় গোল হজম করা বার্সেলোনা এই ম্যাচে আর রক্ষণে কোনো ভুল করেনি।

পাল্টা আক্রমণে ৮৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি সুযোগ আসে মেসির সামনে। কিন্তু এবারও বিলবাওয়ের গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। তবে তাতে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে কোনো সমস্যা হয়নি অতিথিদের।