মোহামেডানকে হারানোর পর ১৮ ম্যাচে শেখ জামালের পয়েন্ট দাঁড়াল ৪৫। ৩২ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেল লিগে নিজেদের বাকি চার ম্যাচ জিতলেও ধরতে পারবে না শেখ জামালকে। বৃহস্পতিবারই তাই মামুনুলদের হাতে ২০১৪-১৫ মৌসুমের লিগ ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।
১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মোহামেডান। লিগে আর দুটি ম্যাচ বাকি আছে তাদের।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো লিগ শিরোপা জিতল শেখ জামাল। ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে পেশাদার লিগ শুরু হওয়ার পর এটা কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা। চারটি শিরোপা নিয়ে এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আবাহনী লিমিটেড।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে ঠাসা প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মোহামেডান। তবে ম্যাচের প্রথম গোলটি আক্রমণে পিছিয়ে থাকা শেখ জামালই পেয়েছিল।
৩৩তম মিনিটে মামুনুল ইসলামের কর্নার লাফিয়ে ওঠা নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড এমেকা ডারলিংটনের মাথা ছুঁয়ে ঠিকানা খুঁজে নিলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জবাব দিতে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় নেয়নি মোহামেডান।
বাঁ দিক থেকে আক্রমণে যাওয়া ইসমাইল বাঙ্গুরা বক্সের মধ্যে শেষ মুহূর্তে বল বাড়িয়ে দেন জুয়েলকে। জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড আলতো টোকায় শহিদুল আলম সোহেলকে পরাস্ত করে মোহামেডানকে সমতায় ফেরান।
কিন্তু ৪৫তম মিনিটের সুযোগটি নষ্ট করেনি মোহামেডান। ডান দিক থেকে অরূপ বৈদ্যর ক্রস থেকে হেডে গোল করেন গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মোহামেডান আক্রমণের ধার ধরে রাখলেও প্রথম সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফেরে শেখ জামাল। ৫৫তম মিনিটে ডারলিংটনের লম্বা ক্রস ধরে ওয়েডসেনের হেড ঠিকানা খুঁজে পায়। এর একটু আগে মোহামেডানের জুয়েল প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন।
৬২তম মিনিটে মিডফিল্ডার মোবারকের বদলে মিন্টু শেখ নামলে মোহামেডানের রক্ষণভাগের শক্তি বাড়লেও মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় শেখ জামালের কাছে।
এই সুযোগে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে চাপ বাড়ানো শেখ জামাল আট মিনিট পরই বক্সের একটু বাইরে ফ্রি-কিক পায়। মোহামেডানের রক্ষণ-দেয়াল টপকে ঝুলিয়ে দেওয়া শটে স্কোরলাইন ৩-২ করে দেন শেখ জামালের ডারবো ল্যান্ডিং। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রেখে শিরোপা উৎসবে মেতে ওঠে মামুনুল-এমেকারা।