সুইজারল্যান্ডের প্রচারমাধ্যম আরটিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্লাটার প্রসঙ্গে নিজের মতামত তুলে ধরেন পুতিন।
“আমরা সবাই জানি, এ মুহূর্তে ব্লাটারের চারপাশের পরিস্থিতি কেমন। বিস্তারিত বলতে যাচ্ছি না, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে তার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে একটা কথাও আমি বিশ্বাস করি না।”
“আমি মনে করি, ব্লাটারের মতো লোক বা অলিম্পিক গেমস বা বড় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর প্রধানরা বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। যদি কেউ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য হয়, তাহলে এরাই সেই লোক”, যোগ করেন তিনি।
গত মে মাসের শেষের দিকে পঞ্চম মেয়াদে ফিফার সভাপতি নির্বাচিত হন ব্লাটার। কিন্তু জয়ী হওয়ার চার দিন পরই ফিফার দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন ১৭ বছর ধরে সংস্থাটির সভাপতির পদে থাকা ব্লাটার।
২৯ মে ফিফার নির্বাচনের দুই দিন আগেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাত শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে সুইস পুলিশ।
গ্রেপ্তারের ওই ঘটনার পর সুইস কর্তৃপক্ষ ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করে। ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক পুতিনের রাশিয়া। আর ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার।
সুইস ফেডারেল অফিস অব জাস্টিস সেসময় জানায়, ওই কর্মকর্তারা নব্বইয়ের দশক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি ডলার ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ব্লাটারের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বসবে ফিফার বিশেষ কংগ্রেস; ওই কংগ্রেসেই ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় ব্লাটারের উত্তরসূরি ঠিক করা হবে।