এছাড়া তুলনামূলক কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। তাদের গ্রুপে পড়েছে গত আসরে তৃতীয় হওয়া ও বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা নেদারল্যান্ডস।
ইতালি ও স্পেনের সঙ্গে ইউরোপ অঞ্চলের ‘জি’ গ্রুপে আরও আছে আলবেনিয়া, ইসরাইল, মেসিডোনিয়া ও লিখটেনস্টাইন।
আর ‘এ’ গ্রুপে নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের সঙ্গে আছে সুইডেন, বুলগেরিয়া, বেলারুশ, লাক্সেমবার্গ।
তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে জার্মানি। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ‘সি’ গ্রুপে আছে চেক রিপাবলিক, নর্দান আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, আজারবাইজান, স্যান ম্যারিনো।
‘বি’ গ্রুপে পর্তুগালের সঙ্গে আছে সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, ফারো আইল্যান্ডস, লাটভিয়া ও অ্যান্ডোরা।
‘এইচ’ গ্রুপে ফিফার র্যাংঙ্কিয়ের তিন নম্বর দল বেলজিয়ামের সঙ্গে আছে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, গ্রিস, এস্তোনিয়া ও সাইপ্রাস।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে ‘এফ’ গ্রুপে আছে স্লোভাকিয়া, স্কটল্যান্ড, মাল্টা, লিথুয়ানিয়া ও স্লোভেনিয়া।
ওয়েলস, অস্ট্রিয়া, সার্বিয়া, আয়ারল্যান্ড, মলদোভা আর জর্জিয়াকে নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপ এবং রোমানিয়া, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড, মন্টেনেগ্রো, আর্মেনিয়া ও কাজাখস্থানকে নিয়ে গ্রুপ ‘ই’ অপেক্ষাকৃত সহজ।
আরেকটি অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপ ‘আই’তে আছে ক্রোয়েশিয়া, আইসল্যান্ড, ইউক্রেইন, তুরস্ক ও ফিনল্যান্ড।
ইউরোপ থেকে মোট ১৪টি দল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। তার মধ্যে স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে রাশিয়া সরাসরি খেলার সুযোগ পাওয়ায় বাকি ১৩টি স্থানের জন্য বাছাইপর্বে লড়বে মহাদেশটির দেশগুলো।
সে লক্ষ্যে ইউরোপের বাকি ৫২টি ফিফার সদস্য রাষ্ট্র ৯টি গ্রুপে ভাগ হয়ে বাছাইপর্বে অংশ নেবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দল আর সেরা আট রানার্সআপের মধ্যে ৪টি দল বিশ্বকাপের টিকেট পাবে।
বাছাইপর্বের খেলা আগামী বছরের সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ২০১৭ সালের অক্টোবরে।
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ও দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার মহাদেশ লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের জন্য ড্রর প্রয়োজন হয় না। এখানকার ১০টি দল হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে সবাই সবার সঙ্গে খেলবে। শেষে পয়েন্ট তালিকার প্রথম চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকেট পাবে।
আর পঞ্চম স্থানে থাকা দলটি ওশেনিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে।