গত কয়েক মাস ধরেই ফিটনেস সমস্যায় ভুগতে থাকা বোল্ট এই দৌড় জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ফর্মে ফেরারও ইঙ্গিত দিলেন।
লন্ডনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ভেজা আবহাওয়ার মধ্যেও মৌসুমে নিজের সেরা টাইমিং করেন বোল্ট। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের সোনা জয়ী জ্যামাইকার এই স্প্রিন্টার যেন মুকুট ধরে রাখতে স্বরূপে ফিরছেন।
১০০ ও ২০০ মিটারে বিশ্ব রেকর্ডের মালিক বোল্ট শুক্রবার দৌড় শেষ করেন ৯.৮৭ সেকেন্ডে। এটা এ বছরের ষষ্ঠ সেরা টাইমিং। বছরের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সেরা টাইমিং করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিন গ্যাটলিন।
বোল্ট লন্ডনে দৌড়ের শুরুটা খুব বেশি ভালো করতে পারেননি। তবে শেষ ১০ মিটারে প্রতিপক্ষদের ছিটকে ফেলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল রজার্সের চেয়ে ০.০৩ সেকেন্ড কম সময় নিয়ে ফিনিশিং লাইন পার করেন বোল্ট। জ্যামাইকার কেমার বেইলি-কোল ৯.৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হন।
লন্ডনের এই প্রতিযোগিতায় অবশ্য গ্যাটলিন আর আসাফা পাওয়েল ছিলেন না।
আগামী মাসে বেইজিংয়ে বসতে যাচ্ছে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। এ প্রতিযোগিতায় ৮টি সোনা জেতা বোল্ট তার ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের মুকুট ধরে রাখার মিশনে নামার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী।
“আমি ভালো আছি। সবকিছু ঠিক আছে-এটা নিশ্চিত করতে আমার হয়ত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, কিন্তু আমি ভালো বোধ করছি।”
২০০৯ সালে বার্লিন বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার ও ১৯.১৯ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড় শেষ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়া বোল্ট এরপর যোগ করেন, “আমি এখনও এক নম্বর। আমি কখনোই দুই নম্বর হব না।”