পার্লামেন্ট সদস্যদের রক্ষা করতে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া সাধারণ মানুষ ও পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি।
লন্ডন সময় বুধবার দুপুরে হামলার পরপরই এক টুইটে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনের এমপি টিউলিপ বলেন, “আমি ভাল আছি।... পার্লামেন্টের নিরাপদ কক্ষে আবদ্ধ। ইন্টারনেটের গতি খুব কম। মেসেজের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।”
ওই হামলা যখন হয়, হাউস অব কমন্সে তখন অধিবেশন চলছিল। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মেও অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
হামলাকারী লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেতুতে পথচারীদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা ও বহু মানুষকে আহত করে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে পৌঁছান। সেখানে ছুরি মেরে হত্যা করেন এক পুলিশ সদস্যকে। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ওই হামলাকারী।
এ সময় পার্লামেন্ট ভবনে আটকা পড়েন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যরা; তাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অবস্থা এবং সর্বশেষ পরিস্থিতির বর্ণনা দিচ্ছিলেন।
ঘটনার পরপরই পার্লামেন্ট সদস্য টোবিয়াস এলউডকে দেখা যায় মুখে মুখ লাগিয়ে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে ছুরিকাহত এক পুলিশ সদস্যকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই পুলিশ সদস্যের।
হামলার ঘটনার প্রায় ছয় ঘণ্টা আরেক টুইটে টিউলিপ লেখেন, “ওয়েস্টমিনস্টারে মানুষ আজ নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে আমাদের বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ লন্ডন।”