গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহমেদ মৃধার উপর হামলা হয়।
হামলাকারীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি এবং শৈলকূপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোনা সিকদারের অনুসারী বলে আক্রান্ত ব্যক্তির স্বজনরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
সোনা সিকদার এক সময় জাসদ করতেন।
প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা মুক্তারের উপর হামলার ভিডিওচিত্র ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, হামলাকারীরা সবাই ক্ষমতাসীন দলে সংশ্লিষ্ট।
ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় জেলা জজ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বর্তমানে তারা মুক্ত রয়েছেন।
আক্রান্ত মুক্তার মৃধার ছেলে সুমন মৃধা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হামলাকারীদের মধ্যে প্রথমে হিট করে যাদব, যাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোনা সিকদারের বডিগার্ড হিসাবে স্থানীয়রা জানে। এর পরপরই (২য় ব্যক্তি) হাতুড়ি দিয়ে পায়ে আঘাত করে রিপন, এই ব্যক্তিও সোনা সিকদারের বডিগার্ড।
“দৃশ্যপটে উপস্থিত তৃতীয় ব্যক্তি (লালগেঞ্জি পরা) হরিহারা গ্রামের সুমন। তিনি সোনা সিকদারের ছেলে ইকুর সঙ্গে চলাফেরা করেন।”
ভিডিওতে এর পরপরই লালগেঞ্জি পরা সুমনের হাত থেকে লোহার পাইপ কেড়ে নিয়ে আক্রমণে দেখা যায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাওন সিকদারকে (সাদা চেক পোলো শার্ট)। উপর্যুপরি আটটি আঘাত করতে দেখা যায় তাকে। পরে বাঁচাতে আসা লালগেঞ্জি পরা এক ব্যক্তিকেও পেটাতে পেটাতে রাস্তার দিকে নিয়ে যান তিনি।
ভিডিওচিত্রে আরও দেখা যায়, কিছুক্ষণের জন্য আক্রমণ থেমে যাওয়ার পর চাপাতি হাতে এগিয়ে আসে সোনা শিকদারের ‘ক্যাডার’ সাচ্চু। পর পর কয়েকটি কোপ দেন তিনি। সবশেষে দেখা যায় শাওন শিকদারকে আবার তেড়ে এসে পাইপ দিয়ে আবার পেটাতে।
সুমন মৃধা আরও বলেন, আক্রমণকারীদের সহযোগী হিসাবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কর্নেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম মোল্যা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম সিকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব বাহাদুর ছিলেন।