প্লুটো ও এর চাঁদ ক্যারনে ভৌগলিক সক্রিয়তার লক্ষণও ছবিতে ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নিউ হরাইজনস প্লুটোর পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় মহাকাশযানটির তোলা প্রথম এ ছবিটিই প্রদর্শন করলেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গলবার প্লুটোর ১২ হাজার ৫শ’ কিলোমিটার কাছ দিয়ে উড়ে যায় নিউ হরাইজনস। আর তখনই এটি গ্রহের ছবি তুলে পাঠানোসহ বহু তথ্য পাঠায় যানটি।
প্লুটো অভিযানের এক বিজ্ঞানী জন স্পেনসার সাংবাদিকদেরকে বলেন, প্রথম কাছ থেকে তোলা প্লুটোর ভূপৃষ্ঠের ছবিতে গত ১০ কোটি বছর ধরে বেশকিছু ভৌগলিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এর ভূমি পুনর্গঠিত হয়েছে।
ফলে এটি পরিষ্কার যে প্লুটো নিস্তেজ এবং মৃত গ্রহ নয়। তাছাড়া, প্লুটোতে তেমন কোনো গর্তও দেখা না যাওয়ায় বিজ্ঞানীদের ধারণা, এ গ্রহ ও এর চাঁদ এখনো সক্রিয় রয়েছে।
প্লুটো অভিযানের প্রধান বিজ্ঞানী এ্যালান স্টার্ন বলেছেন, " আমরা এখন এমন এক বিচ্ছিন্ন, ছোট গ্রহ পেয়েছি যেটি সাড়ে চারশ’ কোটি বছর পরও সক্রিয় রয়েছে।"
বিজ্ঞানীদের প্রদর্শিত ছবিটিতে প্লুটোয় হার্ট আকৃতির একটি এলাকার একপ্রান্তে পাহাড়ও দেখা গেছে। যার উচ্চতা ১১ হাজার ফুট। বিজ্ঞানীরা একে উত্তর আমেরিকার পাথুরে পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
বিজ্ঞানী জন স্পেনসার বলেন, প্লুটোর ভূপৃষ্ঠে মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড এবং নাইট্রেজেন আইসের প্রলেপ পাতলা হওয়ার কারণে তা পাহাড় সৃষ্টি হওয়ার উপযোগী নয়। ফলে এ পাহাড় সম্ভবত পানি জমাট বাঁধা বরফের স্তর দিয়েই গড়ে উঠেছে। আর প্লুটোর তাপমাত্রাও এ ধরনের বড় বড় পাহাড়ের জন্য উপযোগী।