স্পষ্ট হচ্ছে প্লুটোর অবয়ব

মহাকাশযান নিউ হোরাইজনস প্লুটোর যত কাছে এগিয়ে যাচ্ছে ততই স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ছে সৌর পরিবারের এই  বামন গ্রহটির দাগে ভরা অবয়ব।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2015, 05:42 PM
Updated : 13 July 2015, 06:54 PM

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিজ্ঞানীরা বলছেন, খুব দ্রুত এবং ভালোভাবেই প্লুটোর কাছে পৌঁছাচ্ছে নিউ হোরাইজনস।

সোমবার দিনের প্রথমভাগে প্লুটোর ১০ লাখ মাইলের মধ্যে পৌঁছে গেছে যানটি। মঙ্গলবার এটি প্লুটোকে প্রদক্ষিণ করবে। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণ করে নেবে যানটি।

পৃথিবী থেকে প্লুটোর দূরত্ব প্রায় ৫শ' কোটি কিলোমিটার হওয়ায় যে কোনো বেতার বার্তা পৃথিবীতে পৌঁছতে সময় নেবে ঘন্টার পর ঘন্টা।

আর এ থেকে এটিও পরিস্কার যে, এই দূরত্বের কারণে সঠিক সময় মহাকাশযানটিকে পৃথিবী থেকে নিয়্ন্ত্রণও করতে পারবেন না বিজ্ঞানীরা। ফলে স্বয়ংক্রিয় কমান্ড সিস্টেমেই কাজ করবে নিউ হোরাইজনস।

বিবিসি জানিয়েছে, ১৪ জুলাই মঙ্গলবার প্লুটোর ১২ হাজার ৫শ’ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছবে নিউ হোরাইজনস। এর আগে আর কোনো মহাকাশযান প্লুটোর এত কাছে যায়নি।

যাত্রা শুরু করার পর বহু দূর থেকেই একের পর এক প্লুটোর ছবি পাঠিয়ে আসছে যানটি। তবে দূর থেকে পাঠানো ছবিগুলো স্পষ্ট ছিল না। যানটি গ্রহের যত কাছে যাচ্ছে ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে ছবিগুলো।

সর্বশেষ প্লুটোর বৃহত্তম চাঁদ ক্যারনের ছবি পাঠিয়েছে নিউ হোরাইজনস। এ ছবি থেকে প্লুটো আর এর চাঁদের অবয়বে বহু বৈপরীত্য লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা।

মঙ্গলবার এখনকার চেয়ে ৫শ’ গুণ ভাল ছবি পাওয়ার ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী । ওইসব ছবি বিশ্লেষণ করে সমাধান করা যাবে একাধিক রহস্যের। কিভাবে তৈরি হয়েছে সৌর পরিবারের গ্রহগুলো? কিভাবেই বা তাদের একেকটি উপগ্রহ থাকে (পৃথিবীর বেলায় যেমন চাঁদ)?

এত দূরের লক্ষ্যে পৌঁছতে নিউ হোরাইজনস যাত্রা শুরু করেছিল প্রায় নয় বছর আগে, ২০০৬ সালে।

মঙ্গলগ্রহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পাঠানো মাহাকাশযানের তুলনায় প্লুটোতে পাঠানো নিউ হোরাইজনস ৫ হাজার গুণ বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের।

প্লুটোয় এ অভিযান সফল হলে মানবজাতির ইতিহাসে তা হবে আরেকটি মাইলফলক। এতে করে সৌরজগতের সব গ্রহেই মানুষের পাঠানো যানের সফলতা নিশ্চিত হবে।