৮০ লক্ষ কিলোমিটার দূর থেকে ফ্রেমবন্দি প্লুটো

সৌর পরিবারের ‘বামন গ্রহ’ প্লুটোর আকাশে পৌঁছানোর পথে থাকা মহাকাশযান নিউ হোরাইজনস ৮০ লক্ষ কিলোমিটার দূর থেকে গ্রহটির বিস্ময়কর ছবি পাঠিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2015, 07:32 PM
Updated : 9 July 2015, 07:32 PM

মঙ্গলবার সর্বশেষ এ ছবি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের (নাসা) বিজ্ঞানীরা। গত সপ্তাহান্তে কম্পিউটার সমস্যার কারণে মহাকাশযানটির সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ার পর বিজ্ঞানীরা এই প্রথম আবার প্লুটোর নতুন ছবি পেলেন।

ছবিতে প্লুটোরে একটি বিরাট অংশ অন্ধকার এবং হার্ট আকৃতির আরেকটি উজ্জ্বল অংশ দেখা গেছে। যে অংশটির ব্যাপ্তি প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

ছবিতে দেখা যাওয়া প্লুটোর এ অবয়বের বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা সেদিনই দেবেন যেদিন মহাকাশযানটি প্লুটোর আকাশে পৌঁছবে।

আগামী ১৪ জুলাই  প্লুটোর কাছে পৌঁছে যাবে নাসার তৈরি মাহাকাশযান নিউ হোরাইজনস।  বৃহস্পতিবার মহাকাশযানটি অনেকখানি এগিয়ে পৌঁছে গেছে ৬০ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে।

এরপর প্লুটোর উপরিভাগে প্রায় ১২ হাজার ৫শ’ কিলোমিটারের মধ্যে চলে যাবে নিউ হোরাইজনস। এর আগে আর কোনো মহাকাশযান প্লুটোর এত কাছে যায়নি।

বহু দূর থেকে একের পর এক প্লুটোর ছবি এরই মধ্যে পাঠাচ্ছে পাঠাচ্ছে নিউ হোরাইজনস। তবে সে সব ছবি খুব স্পষ্ট নয়। প্লুটোর কাছে গেলে তখন অনেক ভাল এবং স্পষ্ট ছবি পাঠাতে পারবে মহাকাশযানটি, বলছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী মঙ্গলবারই এখনকার চেয়ে ৫শ’ গুণ ভাল ছবি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তারা।

জ্যোতির্বি়জ্ঞানীরা এখন সে অপেক্ষাতেই আছেন।  আর কয়েকদিন পরই ওইসব ছবি বিশ্লেষণ করে সমাধান করা যাবে একাধিক রহস্যের। কিভাবে তৈরি হয়েছে সৌর পরিবারের গ্রহগুলো? কিভাবেই বা তাদের একেকটি উপগ্রহ থাকে (পৃথিবীরবেলায় যেমন চাঁদ)?

এত দূরের লক্ষ্যে পৌঁছতে নিউ হোরাইজনস যাত্রা শুরু করেছিল প্রায় নয় বছর আগে, ২০০৬ সালে।

মঙ্গলগ্রহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পাঠানো মাহাকাশযানের তুলনায় প্লুটোতে পাঠানো নিউ হোরাইজনস ৫ হাজার গুণ বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের।

তবে তারা বলছেন, প্লুটো অনেক দূরের গ্রহ হওয়ার কারণে সমস্যা দেখা দেবে সে তথ্য পৃথিবীতে পাঠানো নিয়ে। ফলে আগামীদিনগুলোতে নিউ হোরাইজোনসের পাওয়া সব তথ্য পেতে পৃথিবীবাসীর লেগে যাবে ১৬ মাস।