প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেশ কয়েক দফা গবেষণার পর গবেষকদল একমত হয়েছেন, মিশরের মরুভূমিতে বছরখানেক আগে পাওয়া রহস্যময় কালো পাথরের নুড়িই হচ্ছে ধূমকেতুটির কেন্দ্র।
গবেষকদলের প্রধান দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনিভার্সিটি অফ জোহানেসবার্গের জন ক্র্যামার্স বলেছেন, “এটি বিজ্ঞানের একটি রোমাঞ্চকর বিষয়, যেখানে কোনো জিনিস সম্পর্কে আপনার সব ধারণা বিবেচনার বাইরে চলে যাবে।”
গবেষকরা ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস নুড়িটির নাম দিয়েছেন হেপাটিয়া। প্রাচীনকালের আলেকজান্দ্রিয়ার এক নারী গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং দার্শনিককে সম্মান জানিয়ে তার নামেই এ নুড়িটির নাম রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ম্যাশএবল।
ক্র্যামার্স জানিয়েছেন, সাধারণত কার্বনবাহিত পদার্থ হীরায় রূপান্তরিত হয় এবং এটি হয় পৃথিবীর অভ্যন্তরে, যেখানে ভর খুব উচ্চমাত্রার। কিন্তু প্রচ- ধাক্কার মাধ্যমেও খুব উচ্চমাত্রার ভর তৈরি করা সম্ভব। ধূমকেতুটির একটি অংশের সংঘর্ষ থেকে সৃষ্ট প্রচ- ধাক্কায় হীরা উৎপাদিত হয়েছিল। এ সংঘর্ষটি হয়েছিল বর্তমান সময় থেকে দুই কোটি ৮০ লাখ বছর আগে।