নতুন আবিষ্কৃত কণাটিই হিগস বোসন

লার্জ হাড্রন কোলাইডার (এলএইচসি) বিজ্ঞানীরা নতুন এক মৌলিক কণার খোঁজ পেয়েছেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০১২ সালের ৪ জুলাই। তাদের আবিষ্কৃত কণাটিই যে বহু প্রতীক্ষিত হিগস বোসন কণা, সে ব্যাপারে প্রায় ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত ছিলেন এলএচসি বিজ্ঞানীরা। তবুও রয়ে গিয়েছিলো এক শতাংশ অনিশ্চয়তা। সম্প্রতি অবসান ঘটেছে সেই অনিশ্চয়তার। বিজ্ঞান বিষয়ক সাইট লাইভ সায়েন্স জানিয়েছে, এলএইচসি বিজ্ঞানীরা এখন ১০০ ভাগ নিশ্চিত তাদের আবিষ্কৃত কণাটিই হিগস বোসন।

আব্দুল্লাহ জায়েদ প্রদায়ক, বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2013, 12:39 PM
Updated : 19 March 2013, 12:39 PM

এলএইচসিতে আবিষ্কৃত কণাটিই যে হিগস বোসন কণা, বিজ্ঞানীরা সে ঘোষণা দিয়েছেন ১৪ মার্চ, ইতালিতে অনুষ্ঠিত রিকনট্রেস ডি মোরিওন্ড কনফারেন্সে। প্রাথমিক অবস্থায় পাওয়া ডেটারর থেকে আরো আড়াইগুণ বেশি ডেটা বিশ্লেষণ করে নিজেদের আবিষ্কার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন পদার্থবিজ্ঞানীরা।

তবে তাদের আবিষ্কৃত হিগস কণাটি ঠিক কোন ধরনের হিগস পার্টিকল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলে যে কণাটির কথা বলা হয়েছে, সেটি নাকি পদার্থ বিজ্ঞানের অন্যান্য তত্ত্বে আরো হালকা যে হিগস কণার কথা বলা হয়েছে সেটির খোঁজ পেয়েছেন -এই ব্যাপারটি নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন পদার্থবিজ্ঞানীরা।

এ ব্যাপারে এলএইচসি মুখপাত্র জো ইনকানডেলা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য আর ২০১২ সালের পরীক্ষা থেকে পাওয়া পুরো ডেটা সেট বিশ্লেষণ করে আমরা নিশ্চিত যে, হিগস কণাটিই খুঁজে পেয়েছি আমরা। তবে এটি ঠিক, কোন ধরনের হিগস কণা এটি সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আরো বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন।’

হিগস পার্টিকলকে বলা হয় গড পার্টিকল। বিজ্ঞানীদের মতে, এখন থেকে হাজার কোটি বছর পরে মহাবিশ্ব ধ্বংসের কারণ হতে পারে হিগস কণা। মহাশূন্য ও সময়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে জটিল গাণিতিক হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিগস কণা। প্রোটনের তুলনায় ১২৬ গুণ বেশি ভর হিগস কণার, যা কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে অস্থিতিশীল এক মহাবিশ্বের। ফলে এটি ডেকে আনতে পারে মহাবিশ্বের ধ্বংস।