মানব ভ্রুণের জিনগত পরিবর্তনের অনুমতি যুক্তরাজ্যে

গর্ভপাত এবং বন্ধ্যাত্বের কারণ আরও ভালভাবে বুঝতে বিষয়টি নিয়ে গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীদের মানব ভ্রুণের জিনগত পরিবর্তনের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2016, 04:04 PM
Updated : 2 Feb 2016, 04:04 PM

এই প্রথম কোনও দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রূণের জিনগত-পরিবর্তন নিয়ে কাজ করার অনুমতি দিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

লন্ডনের ‘ফ্রান্সিস ক্রিক ইন্সটিটিউট’য়ে এ গবেষণা চলবে। জীবনের শুরুর প্রাথমিক মুহূর্তগুলো আরও ভালভাবে বোঝাই এ গবেষণার লক্ষ্য। শিশুরা অনেক সময় কেন জটিল রোগ নিয়ে জন্মায়তা বুঝতেও সহায়ক হবে এ গবেষণা।

মানব ভ্রূনের জিন পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে নৈতিক বিতর্ক রয়েছে। অনেকের আশঙ্কা, ভ্রূণের ডিএনএ পরিবর্তন করে ডিজাইনার শিশু বা (জিএম শিশু) জন্ম দেওয়ার প্রবণতাও দেখা দিতেপারে।

তবে জিনকাঠামো বদল করা ভ্রূণ কোনও নারীর জরায়ুতে প্রবেশ এখনও বেআইনিই রাখা হয়েছে যুক্তরাজ্যে।

বিশ্বে সর্বপ্রথম মানব ভ্রূণের জিনগত পরিবর্তন নিয়ে কাজ করার দাবি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। গত বছর চীনের একদল বিজ্ঞানী জিনগত কারণে রক্ত গঠনে  জটিলতা দেখা দেওয়ার সমস্যানিরসনে মানব ভ্রুণের জিন পরিবর্তনের দাবি করেছেন।

যুক্তরাজ্যের ফার্টিলিটি রেগুলেটর ‘হিউম্যান ফার্টিলাইজেশন অ্যান্ড এমব্রায়োলজি অথরিটি’র (এইচএফইএ)  বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা অধ্যাপক রবিন লভেল-ব্যাজ বিবিসি’কে বলেন, “(জিনগত পরিবর্তনকৌশল নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে) চীনের নির্দেশিকা আছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি বিষয়টি নিয়ে কাজ না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত বুঝতে পারবেন না তারা আসলে কি করেছে।”

“যথাযথ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই প্রথম এ ধরনের গবেষণা শুরু হয়েছে এবং আমরা এর অনুমতি দিয়েছি।”