সিংড়া পৌর শহরের শোলাকুড়া মহল্লার এক দিনমজুর আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে রাসেল। সিংড়া শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা কক্ষে তাকে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়।
বিশেষ কৌশলে বেঞ্চের ওপর খাতা রেখে সেখানে বসেই মনোযোগ দিয়ে লিখে যাচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দমাতে না পারা ১৪ বছর বয়সী এই কিশোর।
স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, শুধু একটি ছোট্ট পা দিয়েই লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহী এই কিশোর।
“সে পা দিয়ে লেখে এবং পা দিয়ে খাবার খায়।”
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও হাল ছাড়েননি রাসেলের বাবা-মা। তাকে স্থানীয় শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেন।
রাসেলের মা লাভলী বেগম জানান, দুটি সন্তান নিয়ে তিনি সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী এই ছেলের বেঁচে থাকার জন্য একটি কর্মই তাদের আশা; সেটি হলো উচ্চ শিক্ষা। সরকারি সহায়তা পেলে রাসেলকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন।
শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব মো. নাজমুল হক বলেন, শুধু ছোট্ট একটি পা দিয়ে পরীক্ষা দেওয়াটা সবার কাছে বিস্ময়।
“তার জন্য সব রকম সুযোগ-সুবিধাসহ অতিরিক্ত সময়ও বরাদ্দ রাখা হয়েছে।”
সিংড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও কেন্দ্র তদারকি কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ পাল বলেন, “ছেলেটির হাত ও পা না থাকা সত্বেও একটি পা দিয়ে সুন্দরভাবে লিখে পরীক্ষা দেওয়া তার অদম্য স্পৃহার প্রকাশ, যা সকলকে মুগ্ধ করেছে।”