লাউয়াছড়া বন, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, মাধবপুর লেক, হামহাম আনন্দধারা, চা যাদুঘর, সিতেশ বাবুর বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, কমলা রানীর দিঘী, মাইলের পর মাইল চা, আনারস ও লেবু বাগান, হাকালুকি হাওরের বিশাল জলরাশি আর গ্র্যান্ড সুলতানের মনোরম লেক ও ফুলের বাগানসহ জেলার প্রায় দেড়শত পর্যটন স্পট এখন পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর।
লেমন গার্ডেনের দৃষ্টিনন্দন গাছগাছালি আর বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আর্কষণ করছে পর্যটকদের। পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনের জন্য এ পার্কে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইডার।
ছায়ানটের শিল্পী তন্নি সমাদ্দার বলেন, “ঘুরে বেড়ানোর ভিন্ন ভিন্ন আমেজ একমাত্র মৌলভীবাজার জেলা পাওয়া যায়। যেখানে পাহাড়, নদী, বন, হাওর, জীবজন্তু, জাদুঘর, চা আনারস লেবু বাগান, পাখির অভয়ারণ্য সবই আছে।”
পর্যটক বাড়ায় রিসোর্টগুলোতেও ভিড় বেড়েছে বলে জানালেন শ্রীমঙ্গল লেমন গার্ডেন রির্সোট এর মালিক মো. সেলিম মিয়া।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে তারা বেশ সাড়া পেয়েছেন। ঈদের আগেই তাদের ৯৫ শতাংশ রিসোর্ট বুকিং হয়েছে।
বরাবরের মত এবারও শ্রীমঙ্গলে ঈদে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল টি হেভেন এর সত্ত্বাধিকারী আবু সিদ্দিক মো. মুছা।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক শোভন ও জিসান বলেন, শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্যে ভাটা পড়েছে ভাঙ্গা রাস্তাঘাটে। শহরও অপরিচ্ছন্ন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়া প্রয়োজন।
পর্যটকদের নিরাপত্তার সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে বলে কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান জানান।