চাঁদা না দেওয়ায় ওসির বিরুদ্ধে হোটেল মালিককে মারধরের অভিযোগ

চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মাদারীপুরের এক হোটেল মালিককে মারধর করে সাজানো মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে সদর থানার ওসি সওগাতুল আলমের বিরুদ্ধে।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2019, 10:50 AM
Updated : 12 July 2019, 10:50 AM

জেলা শহরের সুমন আবাসিক হোটেলের মালিক সিরাজ মুন্সী এই অভিযোগ করেন। মারধরে ‘চোখের আঘাত বেশি হওয়ায়’ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে ওসি সওগাতুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

চিকিৎসাধীন হোটেল মালিক সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, “সোমবার রাতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আমার হোটেলে থাকতে আসেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর এলাকার ছালাম পেয়াদা ও এক নারী। ওই রাতেই হোটেল তল্লাশি করেন জেলা পুলিশের ডিএসবি শাখার সদস্য শহিদুল ইসলাম। এ সময় পুলিশ আমাকে আটক করে।

“পরদিন ওসি সওগাতুল আলম আমাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে মাসিক ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওসি আমাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারেন। এতে আমার চোখের কোণে রক্ত জমে যায়। কিন্তু তিনি আমাকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠান।”

তার হোটেলে থাকতে আসা সালাম পেয়াদা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি সাজানো মামলা। এই সাজানো মামলায় পুলিশ আমাকে আদালতে পাঠায়। আদালত আমাকে বৃহস্পতিবার জামিন দেয়। তারপর আমি এই হাসপাতালে ভর্তি হই।”

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবির হোসেন বলেন, “চোখের আঘাত বেশি হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও যেতে পারেন। তার চোখে ও মুখে বেশ কটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

এদিকে মামলার বাদী সালাম পেয়াদা এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, “আমি কিছুই জানি না। থানার একজন লোক লিখছে। আমি টিপসই দিছি। আমি মামলা করতে রাজি না। আর হোটেলে একজন পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করিছে।”

অভিযোগ সম্পর্কে ওসি সওগাতুল আলম বলেন, তার সঙ্গে ওই হোটেল মালিকের কখনও দেখাই হয়নি।

“তাকে শারীরিক নির্যাতনের প্রশ্নই ওঠে না। আমার বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি অভিযোগ করায় মামলা আমলে নেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার বলেন, “নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি ওসি নির্যাতন করে থাকেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”