‘প্রেমে রাজি না হওয়ায়’ রাবি ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

‘প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না’ হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2019, 07:15 PM
Updated : 12 Feb 2019, 07:16 PM

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনের চত্বরে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থী।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মানিক। তিনি মতিহার হল ছাত্রলীগের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী এবং ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

অভিযোগকারী নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছেন মানিক।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিভাগের বড় ভাই হওয়ায় আমি কয়েকবার তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। এরপর তিনি প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া শুরু করলে উনার ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দিই। তবুও তিনি আমাকে বারবার ফোন করে বিরক্ত করতেন।

“আজ বিকেলে ক্লাস শেষ হলে বিকাল ৫টায় তিনি বিভাগের সামনে আমাকে দাঁড় করান এবং আমার সঙ্গে জরুরি কথা আছে বলে চত্বরে নিয়ে যান। সেখানে তিনি জোর জবরদস্তি করতে থাকেন। আমি বারবার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। প্রস্তাবে রাজি করতে না পারায় এক পর্যায়ে তিনি আমার শরীরে হাত দেন।”

তিনি বলেন, “আমি খুবই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়েছেন। হয়ত আমার আর এখানে পড়াশুনা করা হবে না। আমি পড়াশুনা বাদ দিয়ে বাড়ি চলে যাব।”

বুধবার প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানান এই শিক্ষার্থী।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ছাত্রলীগকর্মী মানিকের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়াকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

ইতিহাস বিভাগের সভাপতি ড. মর্তুজা খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। আগামীকাল বিভাগে গিয়ে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখব।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে কতটুকু সত্য, তা বলতে পারবো না। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে আমি অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। অভিযোগের সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”