মঙ্গলবার বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ির পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, দশভূজা দেবী দুর্গা অসুর বধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন। সন্তানদের নিয়ে পক্ষকাল পিতার গৃহে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ে। আশ্বিন শুক্লপক্ষের এই ১৫টি দিন দেবীপক্ষ, মর্ত্যলোকে উৎসব।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে শনিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসবের শেষ হবে। একটি বছরের জন্য ‘দুর্গতিনাশিনী’দেবী ফিরে যাবেন কৈলাসে দেবালয়ে।
“বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। শেখ হাসিনার সরকার এই উৎসবকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।”
পূজার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করে ভারতের হাই কমিশনার আরও বলেন, “বাংলাদেশে এটা আমার দ্বিতীয় উৎসব। তবে ঢাকার বাইরে কোন দুর্গা উৎসবে আসা এটাই আমার প্রথম। বাগেরহাটের সিকদার বাড়ির দূর্গা উৎসবে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।”
বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র মণ্ডল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমিত রায়সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।