মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের বিশেষ জজ নিতাইচন্দ্র সাহা এ রায় ঘোষণা করেন।
অন্য দণ্ডিতরা হলেন, নড়াইল পৌরসভার তৎকালীন কমিশনার শরফুল আলম লিটু, মুশফিকুর রহমান, আহম্মদ আলী খান, রফিকুল ইসলাম ও তেলায়েত হোসেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আদালতে হাজির হননি। রায় ঘোষণার পর বাকিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক জানান পিপি সিরাজুল ইসলাম।
একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা করে জরিমান, অনাদায়ে আরও ছয়মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া মামলা চলার সময় ভারপ্রাপ্ত সচিব মতিয়ার রহমান মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পিপি জানান, ২০০৪-০৫ নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। ওই সময় রূপগঞ্জ পশুহাট এইচএম সোহেল রানা পলাশ নামে এক ব্যক্তি ৬৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় ইজারা দেন। দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক ড্রাফট হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন ইজারাদার।
“পরে তিনি দরপত্র মূল্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে অব্যাহতির আবেদন করেন। ওই আবেদনে তৎকালীন পৌর কমিশনার (বর্তমানে মেয়র) জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ ছয় কমিশনার (কাউন্সিলর) ও ভারপ্রাপ্ত সচিব সুপারিশ করেন এবং মেয়র হিসেবে সোহবার তা মঞ্জুর করলে ইজারাদারকে তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।”
তিনি বলেন, পরে নতুন করে ইজারার আহ্বান না করে আসামিরা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ওই হাট তিনবছর ধরে খাস দেখিয়ে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করে তা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস ২০০৮ সালের ৭ অগাস্ট আটজনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।