বগুড়ায় ১৫ দিনের মধ্যে নতুন ধানের আশা

কয়েক দফা বন্যায় বাড়িঘরসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়া বগুড়ার ধান চাষীরা এখন আগাম জাতের রোপা আমনের দিকে চেয়ে রয়েছেন।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2017, 04:39 AM
Updated : 26 Sept 2017, 04:40 AM

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা আগাম জাতের বিনা-৭ ও ব্রি-৪৯ ধান কাটতে পারবেন বলে আশা করছেন।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিচু জমির ফসল বন্যায় নষ্ট হয়ে গেলেও কিছু উঁচু জমিতে চাষ করা আগাম জাতের ধানগাছে শীষ বের হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার গজারিয়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে ব্রি-৪৯ ধান চাষ করেছেন।

“ধানের শীষ বের হওয়া শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কাটতে পারব।”

বন্যায় তার তিন বিঘা জমির রোপা আমন নষ্ট হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই জমিটা উঁচু হওয়ায় বেঁচে গেছি। এখন এই দুই বিঘা জমির ধানই আমার একমাত্র সম্বল।”

ধুনট উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের কৃষক বাদশা মিয়া এক বিঘা জমিতে বিনা-৭ জাতের আগাম ধান রোপণ করেছেন বলে জানালেন।

গত বছর এ জমিতে ২০ মণ ধান হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “এ ধানের চাল চিকন। খেতে মজা লাগে। নিচু জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও এখন এই এক বিঘা জমির ধান আমার শেষ ভরসা।”

বিনা-৭ ও ব্রি-৪৯ ধান বগুড়ার কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রতুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এ দুটি ধান বিঘাপ্রতি ১৮ থেকে ২০ মণ পর্যন্ত ফলে। এছাড়া আগাম জাতের হওয়ায়ও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

সাত-আট বছর আগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিনা-৭ ও ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি-৪৯ উদ্ভাবন করে জানিয়ে তিনি বলেন, বগুড়ায় এ বছর বিনা-৭ সাড়ে ১০ হাজার হেক্টর আর ব্রি-৪৯ প্রায় ৪৪ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। বিনা চিকন, ব্রি একটু মোটা। বাজারে এ দুটি চালেরই অন্য চালের চেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে।