রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ফুলদি এলাকার একটি বিল থেকে গলায় বালুর বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে কালীগঞ্জ থানার ওসি আলম চাঁদ জানান।
নিহত অমূল্য চন্দ্র দাস (৫২) নরসিংদীর পলাশ থানার বরাব গ্রামের বলয় চন্দ্র দাসের ছেলে। বিয়ের পর থেকে ফুলদি এলাকায় শ্বশুর পেরিমোহন রায়ের বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন এবং ওই এলাকায় কৃষিকাজ করতেন তিনি।
অমূল্যর মেয়ের জামাই মনোজিত দে বলেন, শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে তার শ্বশুর ঘরের সামনের বারান্দায় ঘুমাতে যান। পরদিন সকালে বাড়ির লোকজন তাকে বারান্দায় দেখতে না পেয়ে আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখঁজি করেন।
“কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না মেলায় রোববার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সোমবার সকালে বাড়ির পাশের বিলে পরিবারের লোকজন তার শ্বশুরের ভাসমান লাশ দেখতে পান।”
পরে থানায় খবর দেওয়া হলে তারা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে জানান মনোজিত।
ওসি আলম চাঁদ বলেন, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর তার লাশ এখানে ফেলে যায়। লাশটি যাতে ভেসে না উঠে তার জন্য গলায় বালুভর্তি বস্তা বেঁধে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।