শনিবার বিরলের রাজারামপুর গ্রামে চার জন, মোকলেসপুরে একজন, চিরিরবন্দরের চকরামপুর, বোচাগঞ্জের মালগাঁও ও খানসামার আলোকঝড়ী গ্রামের একজন করে মারা যান।
মৃতরা হলেন বিরলের রাজারামপুর গ্রামের মেছের আলী (৩৬), শুকুর উদ্দিন (৪০), কুশু চন্দ্র (১৭), ও বনিতা রায় (৩০), মোকলেসপুরের সাকিবুল ইসলাম (১২), খানসামার আলোকঝড়ী গ্রামের দীনবন্ধু রায় (৪০), চিরিরবন্দরের হালিমা খাতুন (৩২) এবং বোচাগঞ্জের মালগাঁও গ্রামের গীতা রানী (৪৭)।
বিরল থানার ওসি আব্দুল মজিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল থেকে আমন ধান ক্ষেতে কাজ করছিলেন সাত কৃষক। দুপুরে বৃষ্টির সময় তারা পাশের একটি খড়ের ছাউনির নিচে অবস্থান নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন।
বজ্রপাতে খড়ের ছাউনিটি পুড়ে যায় এবং সেখানে থাকা দুটি ছাগলও মারা যায় বলে জানান ওসি।
ওসি আরও জানান, আহতরা হলেন মুক্তি রানী, নলিতা রায় , জোৎস্না রানী, তাইজুল হোসেন, জিয়া, গলিরাম রায়, সুকুমার রায়। তাদেরকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি মজিদ আরও জানান, হেলাল উদ্দিনের ছেলে সাকিবুল ইসলাম বাড়ির পাশে বৃষ্টির পানিতে গোসল করার সময় বজ্রপাতে দগ্ধ হন। স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
চিরিরবন্দর থানার ওসি হারেসুল ইসলাম জানান, সকালে চকরামপুর গ্রামে বজ্রপাতে গৃহবধূ হালিমা খাতুনের (৩২) মৃত্যু হয়েছে।
ওসি জানান, বৃষ্টির সময় বাড়ির আঙ্গিনায় বের হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে হালিমার মৃত্যু হয়।
খানসামা থানার ওসি আব্দুল মতিন প্রধান বিডিনিউজ টেয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দীনবন্ধু রায় দুপুরে আকাশে মেঘ দেখে গোয়ালে গরু বাঁধার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বোচাগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে গীতা রানী মাঠে বাঁধা গরু আনতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।