গাজীপুরে পোশাক শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিক্ষোভরত একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2017, 07:46 PM
Updated : 21 Sept 2017, 07:46 PM

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় ‘আয়মন টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি লিমিটেড’ নামের কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে ওই সংঘর্ষে পুলিশের সাত সদস্যও আহত হয়েছেন।

তারা হলেন-শিল্প পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল জুয়েল রানা,  জাকারিয়া,  আমিরুল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলাম,  হাফিজুর রহমান ও রায়হান হোসেন।

আহত শ্রমিকদের মধ্যে সুফিয়া আক্তার, আরাবি আক্তার, রীনা আক্তার ও রানা হোসেনের নাম জানা গেছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মকবুল হোসেন জানান, শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল মারার পর কাঁদুনে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

কয়েকজন শ্রমিক ও পুলিশ সদস্যরা জানান, এই কারখানার শ্রমিকদের গত ঈদের আগের মাসের ১১ দিনের বেতনের টাকা বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা ১০ সেপ্টেম্বর দেওয়ার কথা থাকলেও তা পরিশোধ করেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ।

প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক কারখানার ভিতরে যান। পরে তারা কাজে যোগ না দিয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ভিতরে অবস্থান নেয়। দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।

এ সময় সেখানে শিল্প পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত হলে শ্রমিকরা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে পুলিশ কারখানার ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে শ্রমিকরা তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় পুলিশ লাঠি চার্জ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

ওই কারখানার এজিএম নাসির উদ্দিন বালী বলেন, “বেতন দেয়া নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে বকেয়া বেতন দেওয়া শুরু করলে শ্রমিকরা শান্ত হয়।”