বৃহস্পতিবার উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান।
দগ্ধ আরিফা খাতুন মিতা (২৩) ওই গ্রামের খালিদ হাসান সুমনের স্ত্রী। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ওয়ালিউর রহমান নয়ন বলেন, মিতার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় শাশুড়ি লামিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওসি আকরাম বলেন, দুই বছর আগে সুমনের সঙ্গে মিতার বিয়ে হয়। সুমন বিজিবি সদস্য হওয়ায় বেশিরভাগ সময় কর্মস্থলে থাকেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে শাশুড়ি মিতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
“এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মিতা তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।”
দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, “শাশুড়ির মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন দিয়েছে বলে মিতা পুলিশকে জানিয়েছে।”