রোহিঙ্গা নিবন্ধন ৩ মাসে সম্পন্নের আশা পাসপোর্ট অধিদপ্তরের

আগামী তিন মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবন্ধন সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজোয়ান।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2017, 12:19 PM
Updated : 21 Sept 2017, 02:45 PM

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

সরকারের হিসাবে গত ২৫ অগাস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা ৪ লাখ ২৪ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বর্তমানে ১৪টি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানায়, উখিয়া ও কুতুপালংয়ের দুইটি কেন্দ্রে গত ১১ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত আট হাজারের বেশি রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়।

মেজর জেনারেল মাসুদ বলেন, রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের জন্য উখিয়ার কুতুপালংয়ের একটি কেন্দ্র এবং টেকনাফের নয়াপাড়ার একটি কেন্দ্রে নতুন করে ৩০টি ল্যাপটপ সংযোজন করা হয়েছে।

“এছাড়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উখিয়ার বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় আরও একটি নতুন নিবন্ধন কেন্দ্র চালু করা হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম জোরদার করতে এসব কেন্দ্রে জনবল বাড়ানো হয়েছে।”

রোহিঙ্গাদের ভাষাগত সমস্যার কারণে নিবন্ধন কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে মাসুদ বলেন, “তারপরও সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা যাবে।”

এদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থী নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনকারী ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট (পরিচালক) আবু নেছার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়ায় স্থাপিত দুইটি কেন্দ্রে চলছে নিবন্ধন কার্যক্রম।

আবু নেছার জানান, এর আগে কুতুপালং কেন্দ্রে ছয়টি এবং নয়াপাড়া কেন্দ্রে চারটি কম্পিউটার দিয়ে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রম চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে কুতুপালং কেন্দ্রে নতুন করে আরও ১৮টি এবং নয়াপাড়া কেন্দ্রে ১২টি কম্পিউটার সংযোজন করা হয়েছে। পাশাপাশি জনবলও বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “বুধবার পর্যন্ত কুতুপালং ও নয়াপাড়া নিবন্ধন কেন্দ্রে আট হাজার ১০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছে।”