বুধবার বেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর গ্রামরে বাসিন্দা মোহম্মদ আলী সরদার এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত সখিপুর ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সালাউদ্দিন মাঝিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক শাহীন মিয়া জানান।
চড়-থাপ্পর মারার কথা অস্বীকার করেছেন সালাউদ্দিন মাঝি।
মোহম্মদ আলীর ছেলে গোলাম মোরসেদ মারুফ (১১) সখিপুর ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
মোহম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত শনিবার ক্লাস চলাকালীন সময়ে মারুফ তার সহপাঠী সোহাগের কাছে নোট নিতে যায়। এ কারণে মারুফের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেশ জোরে কিল, ঘুষি ও চড়-থাপ্পর মারে শিক্ষক সালাউদ্দিন মাঝি।
“এসময় মাঈনউদ্দিন নামে আরেক শিক্ষক এসে মারুফকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কানে প্রচণ্ড ব্যথা ও শুনতে না পাওয়ায় পরে ঢাকার ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।”
মারুফের বাবা আরও বলেন, “চিকিৎসকরা আমাকে জানিয়েছে মারুফের বাম কানের পর্দা ফেটে গেছে। তার শ্রবণ শক্তি ৫০ শতাংশ লোপ পেয়েছে।”
এ নিয়ে সালাউদ্দিন মাঝি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেয়াদবি করায় কারণে আমি মারুফকে প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। এর বেশি কিছুই নয়।”
প্রধান শিক্ষক শাহীন মিয়া বলেন, মারুফকে মারধরের বিষয়টি তার পরিবার ও শিক্ষার্থীদের কাছে জেনেশিক্ষক সালাউদ্দিনকে শোকজ করা হয়েছে।
ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে- জানান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোয়াজ্জেম সরদার।