সোমবার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের জামের আলির ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫), একই গ্রামের করিম বক্সের ছেলে ইদ্রিস আলি (২০), বাঁশঘাটা গ্রামের কোরবান আলির ছেলে আলামিন (২২), বেতলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কবিরুল ইসলাম (২৭) ও দেবনগর গ্রামের রঞ্জনের ছেলে সঞ্জয় (২৫)।
রোববার রাতে সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়ার সিরাজের ইটভাটায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয় অভিযোগে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওই নারী।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, ওই নারী মনোহরির মালামাল বিক্রি করেন। মালামাল বিক্রয়ের সূত্র ধরে তরিকুল ইসলামের কাছে তার এক হাজার টাকা পাওনা হয়। কিন্তু তরিকুল পাওনা টাকা দিতে টাল বাহানা করেন।
“এক পর্যায়ে রোববার টাকা দেওয়ার কথা বলে মোবাইলে ফোন করে ওই নারীকে কদমতলা ব্রিজের কাছে আসতে বলেন তরিকুল। সেখানে গেলে তাকে ভ্যানে করে ছয়ঘরিয়ার সিরাজের ইটভাটার কাছে যেতে বলেন।
“তার কথা মত সেখানে গেলে ওই নারীকে রাস্তা থেকে ধরে ভাটার ইটকাটার রুমে নিয়ে তরিকুলসহ ছয়জন ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই নারীর চিৎকারে টহল পুলিশ তাকে উদ্ধার এবং কবিরুলকে আটক করে।”
ওসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আটক কবিরুলের দেওয়া তথ্যে পুলিশ সোমবার সারাদিন অভিযান চালিয়ে আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ইদ্রিস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।