শিশুকে ‘ধর্ষণের’ পর পরিবারকে আটকে রাখার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে সাত বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণের’ পর তার পরিবারের সদস্যকে আটকে রাখায় অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2017, 03:47 PM
Updated : 17 Sept 2017, 03:47 PM

জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, রোববার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বাহার উদ্দিনের ভাড়া বাসা থেকে ওই শিশুর ও তার পরিবারকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা বাহার উদ্দিন পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শিশুর বাবার অভিযোগ, শনিবার রাতে তার সাত বছরের মেয়ে বাড়িওয়ালার বাড়িতে টিভি দেখতে যায়।  এ সময় বাড়িওয়ালা বাহার উদ্দিন তাকে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েকেটি বাড়িওয়ালার ছেলেরা বাড়িতে দিয়ে যায় এবং বিষয়টি কাউকে জানালে প্রকাশ করলে হত্যার পর লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।

“আমরা ইজ্জত বাঁচাতে অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাহারের ছেলে মনির হোসেন ও তার ছেলের লোকজন আমাদেরকে ঘরে আটকে রাখে। 

“রোববার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি রূপগঞ্জ থানায় জানালে এসআই সাজাউল ঘটনাস্থলে আসলেও ঘুষ গ্রহণ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে চলে যান।”

বাড়িওয়ালার ছেলে মনির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাবা ও আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।”

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই সাজাউল বলেন, “সকালে আমি ঘটনাস্থলে গেলেও ভিকটিমের পরিবার মামলা করতে রাজি না হওয়ায় আমি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ওসি স্যারকে বিষয়টি অবগত করে ফিরে আসি। বিকালে স্যারের নির্দেশে ভিকটিম ও তার পরিবারকে থানায় নিয়ে আসি।”

পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ আইনানুসারে যাবতীয় ব্যবস্থা হবে। অভিযুক্ত বাহারকে আটকের চেষ্টা চলছে।

“এই ঘটনায় পুলিশের কোন গাফিলতি অথবা ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”